কলকাতার রাস্তাঘাট ও ফুটপাতের দখলদারি রুখতে মঙ্গলবার সকাল থেকে অভিযানে নামে কলকাতা পুরসভা ও কলকাতা পুলিশ। ভবঘুরে ও ফুটপাতবাসীদের সরাতে শহরের একাধিক এলাকায় এদিন একযোগে অভিযান চালানো হয়। প্রশাসনের তরফে তাদের নাইট শেল্টারে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও, তাতেও সাড়া দেননি অনেকেই। ফলে এ দিনের অভিযান তেমন সাফল্য পায়নি বলে স্বীকার করে নিয়েছে প্রশাসন।
পুর আধিকারিকদের মতে, শুধু অভিযান চালিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। বরং নিয়মিত পুলিশি নজরদারি আরও বাড়ানো দরকার, যাতে ভবঘুরেরা আবার নতুন করে ফুটপাতে আস্তানা গড়তে না পারেন। সেই কারণে এদিন ফের কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন পুর-কমিশনার।
অন্যদিকে, শহরের উড়ালপুলগুলির নীচে গড়ে ওঠা অবৈধ দখল নিয়েও কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে প্রশাসন। আজ একটি যৌথ টিম পরিদর্শনে নামছে শহরের বিভিন্ন উড়ালপুলে। কলকাতা পুরসভা, লালবাজার, কেএমডিএ ও এইচআরবিসি’র আধিকারিকরা থাকবে এই দলে। সূত্রের খবর, অনেক উড়ালপুলের গায়ে থাকা বিজ্ঞাপনের কাঠামো নষ্ট করে দেয় ভবঘুরেরা। কোথাও কোথাও সেই লোহার কাঠামো খুলে বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
পুরসভার এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘অনেক জায়গায় ব্রিজের নীচে পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেছেন ভবঘুরেরা। প্লাস্টিক দিয়ে ছাউনি বানিয়ে চলছে সংসার। এমনকি রাস্তার উপরেই চলছে রান্না। কিছু জায়গায় অসামাজিক কাজকর্ম বা অপরাধও ঘটে বলেও অভিযোগ এসেছে। তাই এবার ওই সব জায়গা খালি করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে যাতে আর কেউ না বসতে পারে, তার জন্য জায়গা ঘিরে ফেলার ভাবনাও রয়েছে।’
শহরের যাত্রী প্রতীক্ষালয়, ফুটপাত, ব্রিজের তলা—এসব জায়গায় ফুটপাতবাসীদের আনাগোনা যে নাগরিক জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করছে, তা নিয়ে প্রশাসন এখন কড়া পদক্ষেপের পথে। নিয়মিত অভিযান ও নজরদারি চালিয়ে শহরের জনজীবন স্বাভাবিক রাখাই এখন পুরসভার মূল লক্ষ্য।