কলকাতা পুরসভা পরিচালিত ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে শুক্রবার ১৩৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ফোন করেছিলেন সৈকত চ্যাটার্জি। ফোনের ওপারে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সৈকতবাবু অভিযোগ, তাঁর বাড়ির পাশের বেআইনি পাঁচতলা নির্মাণ ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা হল, নির্মাণ ভাঙার কাজ করতে গিয়ে পুরসভার কর্মীরা পুরোপুরি না ভেঙে শুধুই গর্ত করে রেখে চলে গিয়েছেন। এই অভিযোগ শুনে ক্ষোভপ্রকাশ করেন খোদ মেয়র। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘নির্মাণ ভাঙতে হলে পুরোপুরি ভাঙতে হবে। গর্ত খুঁড়ে রেখে গেলে চলবে না। আমি ইতিমধ্যেই কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছি, যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
নিজেকে ‘চোখ-কান খোলা মেয়র’ বলে দাবি করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমি মানুষের সঙ্গে কথা বলি, রাস্তার ধারে বসে থাকি, সব খবর আমার কাছে আসে। তাই এই ধরনের গাফিলতি আমার নজর এড়িয়ে যাবে না। পুরসভা গর্ত খুঁড়তে টাকা দেবে, আবার সেই গর্তই কেউ বুজিয়ে দেবে, এটা হতে পারে না। ভাঙতে হলে পুরোপুরি ভাঙতে হবে। নাহলে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে বলতে হবে যে তিনি অপারক।’
Advertisement
মেয়রের এই স্পষ্ট বার্তার পর সংশ্লিষ্ট অফিসাররা কী পদক্ষেপ নেন, তা এখন দেখার। তবে পুরসভার কাজে গাফিলতির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। একাধিকবার সাধারণ মানুষও অভিযোগ তুলেছেন, বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নামে মাঝপথে কাজ ফেলে আসা হচ্ছে। এবার মেয়রের কঠোর অবস্থানের পর পুরসভার কর্মীদের ভূমিকা কতটা বদলায়, সেটাই দেখার বিষয়।
Advertisement
Advertisement



