আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আইনজীবীকে হুমকি দুষ্কৃতীর। ৮-১০ জন দুষ্কৃতী আইনজীবীর বাড়ির সামনে এসে তাঁকে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছালে দুষ্কৃতীদের কাছে হেনস্থার শিকার হতে হয় পুলিশকে। নেতাজিনগর থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় পুলিশ মূল অভিযুক্ত সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের নামে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কেন আইনজীবীকে হুমকি দিচ্ছিল দুষ্কৃতীদের দল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
নেতাজিনগর থানা এলাকার ৪ নম্বর কলোনির বাসিন্দা দীপায়ন ঘোষ। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী।
বুধবার আচমকা তাঁকে ফোন করে হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। তারপরেই আচমকা বাড়ির সামনে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। প্রায় আট দশজন দুষ্কৃতী আইনজীবীর বাড়ির সামনে এসে হুমকি দিয়ে যায়। নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দীপায়ন ঘোষ। দীপায়ন ঘোষ পেশায় একজন আইনজীবীর সঙ্গে কলকাতার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা। কোনও রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে এই হুমকি নাকি হুমকির পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
Advertisement
বুধবার এই গোলমালের খবর পেয়ে নেতাজিনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দুষ্কৃতীদের ধরতে তাঁদের পিছনে ধাওয়া করে পুলিশবাহিনী। কিন্তু দুষ্কৃতীরা সেই সময়েই পুলিশদের আটকায় এবং শুরু করে হেনস্থা। ঘটনাস্থল থেকে প্রথমে পুলিশ ৩ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি দুষ্কৃতী ও মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত ঘোষের খোঁজ পায় পুলিশ। দুষ্কৃতীদের দলে ছিলেন জয়ন্ত ঘোষ নামের এক ব্যক্তি ও কয়েকজন মহিলা।
Advertisement
বাঘাযতীন হাসপাতালে দুষ্কৃতীরা গোলমাল করছিল বলে খবর। সেই কথার সূত্র ধরে পুলিশ বাঘাযতীন হাসপাতালে পৌঁছলে, সেখানে মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত ও বাকি দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে। অভিযোগ হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা করছিলেন তাঁরা। হাসপাতালে থাকা সার্জিক্যাল ছুরি দিয়ে পুলিশের উদ্দেশে হামলা করে জয়ন্ত । তখনই আহত হয় এক পুলিশ কনস্টেবল। ঘটনায় ৬ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রনোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে নেতাজিনগর থানার পুলিশ।
Advertisement



