• facebook
  • twitter
Friday, 22 August, 2025

গভীর নিম্নচাপের আশঙ্কায় তৎপর কলকাতা পুরসভা

বঙ্গোপসাগরে ফের চোখ রাঙাচ্ছে গভীর নিম্নচাপ। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা এবং কলকাতায় শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি।

বঙ্গোপসাগরে ফের চোখ রাঙাচ্ছে গভীর নিম্নচাপ। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা এবং শহর কলকাতায় শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। সামনে ঝড়বৃষ্টির তীব্রতা আরও বাড়বে বলেই সতর্কবার্তা। এই পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে আগেভাগেই সতর্ক হয়েছে কলকাতা পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে নেওয়া হয়েছে একাধিক জরুরি ব্যবস্থা। জল জমে দুর্ঘটনা এড়াতে সক্রিয় হয়েছে পুর প্রশাসন।

পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিং জানিয়েছেন, পাতিপুকুর আন্ডারপাসে দীর্ঘদিনের জল যন্ত্রণার অবসান ঘটছে এবার। ভারী বৃষ্টিপাত হলেও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে জল নামিয়ে দেওয়া যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কলকাতার নিচু এলাকাগুলিতে জল জমার আশঙ্কা থাকায় শহরের সব পাম্পিং স্টেশন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বর্তমানে পুরসভার হাতে আছে ৮২টি পাম্পিং স্টেশন এবং ৪৬০টি পাম্প। এর মধ্যে ৪৪৮টি চলছে পুরোদমে। বাকি ১২টি রক্ষণাবেক্ষণের কাজে রয়েছে। নিচু এলাকা বা বস্তিতে পোর্টেবল পাম্প পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পুরসভার কন্ট্রোল রুমের সমস্ত কর্মী ও আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সতর্ক করে রাখা হয়েছে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমকেও। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, ড্রেনেজ, বিদ্যুৎ -সহ জরুরি বিভাগের কর্মীদের যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় আগামী ৪৮ ঘণ্টা প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হলে বিপদে পড়তে পারেন শহরের নিচু এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে পুরসভা। পুরনো ও বিপজ্জনক বাড়িগুলির বাসিন্দাদেরও সতর্ক করার প্রক্রিয়াও চলছে।

শহরের হোর্ডিং ও ব্যানারগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঝড়ে খুলে পড়তে পারে এমন হোর্ডিং সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝড়ে গাছ পড়া বা অন্য কোনও বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত পুরসভার কর্মীরা।