হকারদের ‘ভেন্ডিং সার্টিফিকেট’ বিতরণ প্রক্রিয়া আবারও স্থগিত রাখল কলকাতা পুরসভা। ১৬ আগস্ট থেকে এই কার্ড বিলি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত দিনে কাজ শুরুই হয়নি। কেন এই হঠাৎ আটকে যাওয়া, তা নিয়ে কানাঘুষো চলছে পুরসভার অন্দরে। পুরসভা সূত্রে খবর, পুজোর আগে নিউ মার্কেট, হাতিবাগান, গড়িয়াহাট–সহ শহরের বড় হকার হাবে মোট ৮,৭২৭টি শংসাপত্র দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু টাউন ভেন্ডিং কমিটির একাংশ আপত্তি জানাতেই গোটা প্রক্রিয়া থামিয়ে দেওয়া হয়।
গত বছর লোকসভা ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হকারদের লাগামছাড়া দখলদারির বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তাঁর নির্দেশে কলকাতায় হকার সমীক্ষা শুরু হয়। সমীক্ষার কাজ শেষ হলে ডিজিটাল ভেন্ডিং কার্ড বিলি হবে, এমনটাই ঠিক হয়েছিল। এই সমীক্ষায় নথিভুক্ত হন মোট ৫৪,১৭৮ জন হকার। তাঁদের মধ্যে প্রথম দফায় নিয়ম মেনে চলা প্রায় ৮,৭২৭ জনকে সার্টিফিকেট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা।
Advertisement
কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় তালিকা নিয়েই। দেখা যাচ্ছে, চূড়ান্ত তালিকা থেকে অনেকের নাম বাদ পড়ে গিয়েছে। তাই নতুন করে তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, ‘আমরা চাইছি সবকিছু শান্তিপূর্ণ হোক। বিতর্ক এড়াতেই আপাতত সার্টিফিকেট বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের অনুমোদন পাওয়ার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ হবে।’ আধিকারিকের কথায়, যাঁদের নাম বাদ পড়েছে তাঁরা একসঙ্গে রাস্তায় বসে পড়লে শহরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। তাই পুরসভার ওয়েবসাইটে এখনই তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
Advertisement
এদিকে টাউন ভেন্ডিং কমিটির সদস্য ও হকার জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির রাজ্য সভাপতি অসিত সাহা অভিযোগ করেছেন, ‘কমিটির বৈঠকে শুধু উচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। পুনর্বাসন, সার্টিফিকেট বিতরণ বা হকারদের উন্নয়ন, এসব নিয়ে কোনও আলোচনাই হচ্ছে না। পুলিশও কমিটির সুপারিশ কার্যকর করতে পারছে না। ফলে সার্টিফিকেট বিলি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।’ তবে মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
Advertisement



