বাংলাদেশে হাসিনার পতনের পর ভারতে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। ইতিমধ্যে একের পর এক জঙ্গি গ্রেপ্তার এবং তাদের বাংলাদেশ যোগ সেই সম্ভাবনাকে আরও প্রবল করেছে। সেজন্য ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। ৫ আগস্ট থেকে সীমান্তে ধাপে ধাপে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অনুপ্রবেশের অন্যতম করিডোর বনগাঁ সীমান্ত। সেজন্যে রাজ্যের অন্যান্য সীমান্তের সঙ্গে সঙ্গে এই সীমান্তে নজরদারিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কঠোর করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এবার সেই নিরাপত্তা আরও নিশ্ছিদ্র করতে উদ্যোগী হল স্থানীয় এক গ্রামপঞ্চায়েত। অনুপ্রবেশ রুখতে সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে এই সীমান্ত এলাকায় সিসিটিভি বসিয়েছে বনগাঁর সীমান্ত লাগোয়া ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত। পেট্রাপোল এলাকার যশোর রোডের জয়ন্তীপুর বাজার, হরিদাসপুর বাজার-সহ একাধিক এলাকায় ৫০ টি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এই কাজে এখনও অবধি পঞ্চায়েত প্রায় ছয় লক্ষ টাকা খরচ করেছে। শুরু হয়েছে নজরদারি।
এমনিতেই গত পাঁচ মাস ধরে বাংলাদেশ অশান্ত। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন বেড়ে চলেছে। ফলে বাংলাদেশের একাধিক সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা ক্রমশঃ বাড়ছে। পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। পাশাপাশি ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত দিয়ে বাংলাদেশের বহু মানুষ যাতায়াত করে। ইদিনিং অপরিচিত লোকজনের আনাগোনাও বেড়েছে। ফলে অনুপ্রবেশকারীরা তো বটেই জঙ্গিরা ঢুকে পড়ার আতঙ্কও এখন তাড়া করছে বাসিন্দাদের।
Advertisement
অতি সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কলকাতার পার্ক স্ট্রিট এলাকা থেকেও পাকড়াও হয়েছেন এক বাংলাদেশি। সেজন্য ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া ছয়ঘড়িয়া পঞ্চায়েতেও চাপা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনও এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছে। সেই নজরদারি আরও জোরালো করতেই এই সিসিটিভি লাগানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এব্যাপারে বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, প্রয়োজনে আরও সিসিটিভি লাগানো হতে পারে।
Advertisement
Advertisement



