• facebook
  • twitter
Sunday, 23 March, 2025

যোগেশচন্দ্রে প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত প্রাক্তনীদের

বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, 'একযোগে ১০ হাজার বা ২০ হাজার প্রাক্তনী 'কলেজে ঢুকব' বললেই তো আর ঢুকতে দেওয়া যায় না।'

ফাইল চিত্র

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের ক্যাম্পাসে প্রাক্তনীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিল। আদেশনামায় উল্লেখ রয়েছে যে, প্রাক্তনীদের প্রবেশ এবং প্রস্থানের জন্য নির্দিষ্ট নীতি স্থির করতে হবে’। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ‘যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন এবং ডে কলেজের পরিচালন কমিটিকে এই সংক্রান্ত নীতি প্রণয়ন করতে হবে। চাইলেই সবসময় সব প্রাক্তনী কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবেন না’। সরস্বতী পুজোয় বহিরাগতদের নিয়ে গোলমাল হয়েছিল যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে। অভিযোগ, কলেজের ভিতরে পুজো করার জায়গা দেওয়া হয়নি যোগেশচন্দ্র ডে কলেজের পড়ুয়াদের। তাঁরা ক্যাম্পাসের বাইরে ইন্দ্রাণী পার্কের সামনে পুজো করতে বাধ্য হয়েছেন। ক্যাম্পাসের ভিতরে পুজো করেছেন যোগেশচন্দ্র আইন কলেজের পড়ুয়ারা।

গোলমালের জেরে কলেজের অধ্যক্ষ ব্যক্তিগতভাবে ক্যাম্পাসের ভিতরে আলাদা পুজো করেন। রবিবার এই সমস্ত পুজো ঘিরে গোলমাল হয় কলেজে।

বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ‘একযোগে ১০ হাজার বা ২০ হাজার প্রাক্তনী ‘কলেজে ঢুকব’ বললেই তো আর ঢুকতে দেওয়া যায় না।’ বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, ‘বহিরাগত এবং প্রাক্তনী সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে দুই কলেজের পরিচালন কমিটিকে। প্রাক্তনীরা কখন, কীভাবে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবেন, কখন বেরোবেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করতে হবে। সেই নীতি অনুযায়ী প্রাক্তনীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হবে ক্যাম্পাসের ভিতর’। প্রসঙ্গত, যোগেশচন্দ্র আইন এবং ডে কলেজের ক্লাস হয় একই ক্যাম্পাসে। কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে পুজো করা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন যোগেশচন্দ্র আইন বিভাগের এক পড়ুয়া। মামলাকারী অভিযোগ করেছিলেন, যে জায়গায় তাঁরা এত দিন পুজো করে এসেছেন, তা দখল করেছে ডে কলেজ। আবার, ডে কলেজের তরফে আদালতে দাবি করা হয়, তাঁদের পুজোর জায়গায় অস্থায়ী নির্মাণ তৈরি করেছেন বহিরাগতরা। বহিরাগতদের কলেজে প্রবেশের উপর আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হাইকোর্ট।