নিগ্রহের অভিযোগে অভিযুক্ত যোগীর পুলিশ প্রিয়াঙ্কার হাতে হাতকড়া

সংঘর্ষের ঘটনায় আট জনের মৃত্যুর পরে রবিবার রাতেই লখিমপুর খেরির উদ্দেশ্যে রওনা দেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা।

Written by SNS Lucknow | October 5, 2021 11:37 am

যোগীর পুলিশ প্রিয়াঙ্কার হাতে হাতকড়া (Photo:SNS)

সংঘর্ষের ঘটনায় আট জনের মৃত্যুর পরে রবিবার রাতেই লখিমপুর খেরির উদ্দেশ্যে রওনা দেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা। কিন্তু পথে সীতাপুরে তার কনভয় আটকে তাঁকে যোগীরাজ্যের পুলিশ আটক করে। প্রিয়ঙ্কাকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। তার হাতে হাতকড়াও পরানো হয়।

এদিকে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি এলাকায় কৃষক হত্যার প্রতিবাদে ধরনায় বসে আটক হলেন নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। সোমবার সকাল থেকে পাঞ্জাবের কয়েকজন কংগ্রেস নেতা ও বিধায়ককে নিয়ে চণ্ডীগড়ের রাজভবনের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন সিধু। দুপুরে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ের পুলিশ তাদের আটক করে।

রবিবার লখিমপুরে নিহত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয় বঢরাকে আটক করে পুলিশ। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নী সোমবার হেলিকপ্টারে লখিমপুরে যাওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারের অনুমতি চাইলেও তা দেওয়া হয়নি।

সিধুসহ পাঞ্জাবের কংগ্রেস বিধায়কদের দাবি অবিলম্বে বিরোধীদের লখিমপুর পরিদর্শনের অনুমতি দিতে হবে যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহার এবং লখিমপুর হিংসায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আকাশের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি তোলেন তারা সোমবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের উদ্দেশে রওনা দেন তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল, আবির বিশ্বাস এবং সুস্মিতা দেব। এদিন দিল্লি থেকে লখিমপুরের উদ্দেশে রওনা দেন তারা। যদিও তাঁদেরকে এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের সাঁতাপুরে প্রিয়ঙ্কার কনভয় আটকানোর পরে পুলিশের সঙ্গে তিনি বিতায় জড়ান। সংবাদমাধ্যমে বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ প্রিয়ঙ্কাকে লখিমপুর যেতে নিষেধ করছে।

অন্যদিকে, প্রিয়ঙ্কার দাবি, তাকে আটকানোর অধিকার নেই পুলিশের। তিনি পুলিশের কাছে জানতে চান তাঁদের কাছে ওয়ারেন্ট রয়েছে কি না। ভিডিয়োতে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে থাকা কংগ্রেস নেতা দীপেন্দ্র হুডাকে বলতে শোনা যায়, পুলিশ কেন কংগ্রেস নেত্রীকে ধাক্কা দিচ্ছে। তিনি এই ঘটনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দেন প্রতিবাদ করায় দীপেন্দ্রকে পুলিশ মারধর করেছে বলে অভিযোগ করতে শোনা যায় প্রিয়ঙ্কাকে।

রবিবার রাতে অবশ্য লখিমপুরে যেতে পারেননি প্রিয়ঙ্কা। তাঁকে আটক করে সীতাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সকালে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এই ঘটনার পরে প্রিয়ঙ্কার সমর্থনে ট্যুইট করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি।

তিনি বলেন, “প্রিয়ঙ্কা আমি জানি তুমি পিছিয়ে যাবে না। ওরা তোমার সাহস দেখে ভয় পেয়েছে। আমরা নিশ্চিত করব যাতে কৃষকরা ন্যায় বিচার পান।’ লখিমপুর যাওয়ার পথে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবকেও আটকানো হয়েছে।

বাঁধা পেয়ে তিনি রাস্তার মধ্যে ধরনা শুরু করেন। তাকে আটক করে লখনউ পুলিশ। এই নিয়ে চরম অশান্তির সৃষ্টি হয়। অখিলেশের বাড়ির বাইরে পুলিশের একটি জিপে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনা নেট মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশকর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।