মাদ্রাসা শিক্ষকদের সাম্মানিক বেতন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত যোগী সরকারের

Written by SNS January 11, 2024 7:43 pm
 লখনউ, ১১ জানুয়ারি –  কেন্দ্রীয় সরকার মাদ্রাসা শিক্ষকদের সাম্মানিক ভাতা বন্ধ করে দিয়েছিল  আগেই।  এবার সেই পথে হাঁটল উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার মাদ্রাসা শিক্ষকদের কোনও টাকা দেবে না, এই সিদ্ধান্তের পর বন্ধ হয়ে যায় প্রায় ২৫ হাজার মাদ্রাসা শিক্ষকের সাম্মানিক ভাতা।  উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসায় আধুনিকীকরণ প্রকল্পে হিন্দি, ইংরেজি, গণিত এবং বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলির জন্য নিয়োগ করা শিক্ষকদের সাম্মানিক বেতন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী সরকার। বেতন বন্ধ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ। 

মাদ্রাসা আধুনিকীকরণ প্রকল্প চলছে ১৯৯৩-১৯৯৪ সাল থেকে। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের একটি  প্রকল্প। এই প্রকল্পে মাদ্রাসায় নিয়োগ করা হয় হিন্দি, ইংরেজি, বিজ্ঞান, গণিত ও সামাজিক বিজ্ঞান পড়ানোর শিক্ষকদের।  এই প্রকল্পে ২৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল যার মধ্যে স্নাতক শিক্ষকদের ভাতা দেওয়া হত ৬ হাজার টাকা করে। যে শিক্ষকরা স্নাতোকোত্তর করেছেন তাঁদের প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হত ১২ হাজার টাকা। ২০১৬ সালে সমাজবাদী পার্টির সরকার প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা ও ৩ হাজার টাকা করে সাম্মানিক ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর স্নাতক মাদ্রাসা শিক্ষকদের ৮ হাজার টাকা সাম্মানিক ভাতা দেওয়া হত ও স্নাতকোত্তর শিক্ষকদের ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হত।
 
এই প্রকল্পটি কেবলমাত্র অনুমোদিত হয় ২০২১-২০২২ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা। কেন্দ্রীয় সরকার এখন আর সাম্মানিক ভাতা প্রদান বন্ধ করছে না। বাজেটেও বিলুপ্ত করা হয়েছে অতিরিক্ত সাম্মানিক ভাতা দেওয়ার প্রথা। এখন কোনও আর্থিক অনুমোদন দেওয়া হয়নি এই সাম্মানিক ভাতার জন্য। এই কারণে সব জেলায় নির্দেশ পাঠিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে  সাম্মানিক ভাতা।
 

এই প্রকল্পে মোট বাজেটের ৬০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা অনুদান দেওয়া হয়, এবং ৪০ শতাংশ রাজ্য সরকার দ্বারা অনুদান দেওয়া হয়। কেন্দ্র প্রায় ছয় বছর ধরে এই প্রকল্পের অধীনে তার অংশ দেয়নি । এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের অধীনে মাদ্রাসা শিক্ষকদের তাঁদের নির্দিষ্ট বেতনের অতিরিক্ত অর্থ দিচ্ছিল। তবে সম্প্রতি তা বন্ধ হয়েছে। জাভেদ চিঠিতে জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী ১৭ অকেটোবর ২০২৩-এ একটি আদেশে বলেচিল মাদ্রাসা আধুনিকীকরণ প্রকল্পটি শুধুমাত্র ২০২১-২২ আর্থিক বছর পর্যন্ত অনুমোদিত।

 

 সাম্মানিক ভাতা  আবার ফিরিয়ে আনতে অনুরোধ জানিয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ। চিঠিতে জাভেদ জানিয়েছেন, ছয় বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার মাদ্রাসা আধুনিকীকরণ প্রকল্পের অধীনে সাম্মানিক ভাতা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে। রাজ্য সরকারও এই বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে এই প্রকল্পের অধীনে শিক্ষকদের ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে সংখ্যালঘু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ড্যানিশ আজাদ আনসারি সাম্মানিক ভাতার উপর স্থগিতাদেশের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।