গরম পড়লে কি করােনাভাইরাসের প্রকোপ কমবে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

বিশ্ব জুড়ে দাপট দেখাচ্ছে করােনাভাইরাস। এরই মধ্যে আসছে গ্রীষ্ম। পারদ উঠছে দেশের সর্বত্র। একটি মহল থেকে শােনা গিয়েছিল, গরম পড়লে করােনাভাইরাসের দাপট কমবে।

Written by SNS New Delhi | March 11, 2020 3:49 pm

প্রতিকি ছবি। (Photo by Money SHARMA / AFP)

বিশ্ব জুড়ে দাপট দেখাচ্ছে করােনাভাইরাস। এরই মধ্যে আসছে গ্রীষ্ম। পারদ উঠছে দেশের সর্বত্র। একটি মহল থেকে শােনা গিয়েছিল, গরম পড়লে করােনাভাইরাসের দাপট কমবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে করােনাভাইরাসের প্রকোপ কমা বা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্পর্ক নেই। তাঁদের বক্তব্য, কোভিড-১৯ রােগটি ছড়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ছোঁয়াছুঁয়ির মাধ্যমে। তার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বড় আকারের জনসমাবেশ এড়িয়ে চলা উচিত। সেই সঙ্গে ঘন ঘন হাত ধুতে হবে। 

ভারতে করােনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশ ছুইছুই। বিশ্ব জুড়ে ওই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ঘড়িয়েছে এক লক্ষ। মােট ১০০টি দেশে ছড়িয়েছে ওই ভাইরাস। মারা গিয়েছেন ৩৮০০ জন। এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ে। কিন্তু তাপমাত্রা বাড়লেই করােনাভাইরাস মারা পড়বে, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। 

সিঙ্গাপুরের মতাে নিরক্ষীয় দেশে তাপমাত্রা বেশি। বাতাসেও যথেষ্ট পরিমাণে আদ্রতা রয়েছে। সেখানে করােনাভাইরাসে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। দিল্লিতে গত কয়েকদিনে গরম আচমকা কমেছে। গত তিন-চারদিনে সেখানে তাপমাত্রা রয়েছে ১১-১২ ডিগ্রি। দিল্লি সরকারের হেলথ সার্ভিসেসের ডিরেক্টর জেনারেল নুতন মুন্দেজা বলেন, তাপমাত্রার হ্রাসবৃদ্ধির সঙ্গে করােনাভাইরাসের প্রকোপের কোনও সম্পর্ক আছে বলে এখনও প্রমাণিত হয়নি। 

ম্যাক্স হেলথকেয়ারের মেডিক্যাল ডিরেক্টর সন্দীপ বুধিরাজা বলেন, কোভিড-১৯ রােগটি নতুন। বিজ্ঞানীরা এখনও এসম্পর্কে বেশি কিছু জানেন না। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আগে দেখা গিয়েছে, ফ্লু ভাইরাস মূলত শুকনাে ও ঠান্ডা আবহাওয়ায় বৃদ্ধি পায়। গরমের মধ্যে তাদের বৃদ্ধি হয় না। ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি তাপমাত্রায় এই ভাইরাসের বৃদ্ধি কমে যায়। কিন্তু করােনাভাইরাসের ক্ষেত্রে কী হয় এখনই বলা যাচ্ছে না। 

ইতিমধ্যে করােনা ভাইরাসের জেরে বিরাট ধস নেমেছে স্টক মার্কেটে। গত চার বছরে কখনও এতটা পড়েনি বাজার। বিশ্বজুড়ে ৬.৮৪ লক্ষ কোটি টাকা খুইয়েছেন বিনিয়ােগকারীরা। ২০১৫ সালের অগস্ট মাসের পর ফের এত বড় ধস নামল স্টক মার্কেটে। সােমবার স্টক মার্কেট সূচক নেমেছে শতাংশ। অপরিশােধিত তেলের দামও কমেছে। সেনসেক্স পড়েছে ২৪৬৭ পয়েন্ট। দিনের শেষ তা দাঁড়িয়ে আছে ৩৫,৬৩৫ এর ঘরে। অন্যদিকে নিফটি পড়েছে ৬৯৫ পয়েন্ট। সেনসেক্সের পতনের হার ৫.১ শতাংশ। অন্যদিকে নিফটির পতনের হার ৪.৯ শতাংশ।