কোথায় ছিল মোদির বাবার চায়ের দোকান, পশ্চিম রেলের কাছে কোনও তথ্য নেই

বার বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে ঘুরেফিরে এসেছে চায়ের দোকানের কথা। বড়নগর স্টেশনের বাইরে বাবার সঙ্গে ছোটবেলায় কাজ করতেন চায়ের দোকানে।

Written by SNS New Delhi | August 26, 2020 2:24 pm

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (File Photo: IANS/BJP)

বার বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’র মুখে ঘুরেফিরে এসেছে চায়ের দোকানের কথা। বড়নগর স্টেশনের বাইরে বাবার সঙ্গে ছোটবেলায় কাজ করতেন চায়ের দোকানে। কিন্তু তাঁর বাবার সেই চায়ের দোকান সম্পর্কে পশ্চিম রেলের কাকোথায় ছিল মোদি’র বাবার চায়ের দোকান, পশ্চিম রেলের কাছে কোনও তথ্য নেইছে কোনও তথ্যই নেই।

এক ব্যক্তির করা আরটিআইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই জানিয়েছে সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশন। বছর দুয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীর বাবা দামোদরদাস মোদির চায়ের দোকান সম্পর্কে জানতে চেয়ে পশ্চিম রেলের সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারের দ্বারস্থ হন হরিয়ানা আদালতের আইনজীবী তথা সমাজকর্মী পবন পারেখ।

তিনি জানতে চান, বড়নগর স্টেশনের বাইরে কোনও চায়ের দোকান ছিল কিনা প্রধানমন্ত্রীর বাবার? যদি থেকে থাকে তাহলে দোকানটির লাইসেন্স কবে মঞ্জুর হয়, সেই সংক্রান্ত কোনও নথি আছে কিনা? এই তথ্য চেয়ে আবেদন করার পরও জবাব না পেয়ে অবশেষে সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশনে আবেদন জানান পবন পারেখ। সেখান থেকেও প্রথমে কোনও জবাব আসেনি।

এরপর দ্বিতীয়বার তিনি আবেদন করেন। এবার তাকে জানিয়ে দেওয়া হল, আমেদাবাদ ডিভিশনের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও রেকর্ড নেই। ১৭ জুনের আগে পবন পারেখের কোনও আবেদন তাদের হাতে আসেনি জানিয়ে দ্বিতীয় আবেদনটিও খারিজ করে দেন ইনফরমেশন অফিসার অর্মিতা পাণ্ডবে।

ছোটবেলায় বাবার চায়ের দোকানে কাজ করার পাশাপাশি বড়নগর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এবং ট্রেনে প্রধানমন্ত্রী চা বিক্রি করতেন, এমনটাই শোনা যায়। কিন্তু এর বাস্তবতা যাচাই করতে কংগ্রেস সমর্থক হিসেবে পরিচিত সমাজকর্মী তেহসিন পুনওয়ালাও ২০১৫ সালে তথ্য জানার আবেদনে জানতে চান, স্টেশন চত্বরে ও ট্রেনে চা বিক্রির জন্য নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদিকে কোনও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হয়েছিল কিনা? সেই সময়ও রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের কাছে এই বিষয়ে কোনও রেকর্ড নেই।

এর আগে ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় ১৫ লক্ষ টাকা করে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে দেবেন বলে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পবন পারেখ ২০১৬ সালে তথ্য জানার অধিকার আইনকে হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কাছে এবিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চেয়েছিলেন।

সেই সময়ও তার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে সোহরাবউদ্দিন এনকাউন্টার মামলায় অমিত শাহর অব্যাহতি পাওয়া নিয়েও তথ্য জানার অধিকার আইনকে সামনে রেখে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের সদুত্তর জানতে চেয়েছিলেন। সেদিনও তাকে ব্যর্থ হতে হয়েছিল।