বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, ইভিএম বিচ্যুতির ঘটনা শেষ দফায়ও

শেষ হল সপ্তদশ লােকসভার সর্বশেষ পর্যায়ের ভােটগ্রহণ। এদিনের ভােটগ্রহণের হার সর্বভারতীয় স্তরে অল্প কিছুটা বাড়লেও, পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের প্রায় সব প্রান্তেই ইভিএম বিচ্যুচির ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি ঘটেছে নির্বাচন বয়কটের ঘটনাও।

Written by SNS New Delhi | May 20, 2019 12:46 pm

(Photo: IANS/PIB)

শেষ হল সপ্তদশ লােকসভার সর্বশেষ পর্যায়ের ভােটগ্রহণ। এদিনের ভােটগ্রহণের হার সর্বভারতীয় স্তরে অল্প কিছুটা বাড়লেও, পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের প্রায় সব প্রান্তেই ইভিএম বিচ্যুচির ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি ঘটেছে নির্বাচন বয়কটের ঘটনাও।

কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানাে হয়েছে সারা দেশে গড়ে প্রায় ৬০ শতাংশ ভােট পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৯টি সহ এদিন ভােটগ্রহণ হয়েছে মােট ৫৯টি কেন্দ্রে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি-সহ এই পর্বের ভােটে ভাগ্যনির্ধারণ হবে ৯১৮ জন প্রার্থীর।

এদিন পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশে ১৩টি আসনে ভােটগ্রহণ হয়। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও মধ্যপ্রদেশে ৯টি আসনে, হিমাচল প্রদেশে চারটি, ঝাড়খণ্ডে তিনটি এবং চণ্ডীগড়ের একমাত্র আসনে ভােটগ্রহণ হয়েছে।

এদিন সকালেই ভােটদানকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক ঘটনার খবর আসতে শুরু করে চান্দৌলি লােকসভা কেন্দ্র থেকে। এই কেন্দ্র থেকেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি মহেন্দ্র নাথ পাণ্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই কেন্দ্রটিতে গেরুয়া বাহিনীর সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির কর্মী-সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

অভিযােগ আসে আলিনগর পুলিশ স্টেশন এলাকায় তারা জীবনপুর গ্রামে দলিত ভােটারদের ভােটদানের আগেই আঙুলে জোর করে কালির ছাপ লাগিয়ে দেয়া হয়। এফআইআর’এ এই অভিযােগ দায়ের করেছেন প্রিসাইডিং অফিসার।

বিকেল পাচটা পর্যন্ত যে হিসেব পাওয়া গিয়েছে, তাতে পাঞ্জাবে ৫৫.৪৪ শতাংশ ভােট পড়েছে। এই রাজ্যে এদিন ১৩টি লােকসভা কেন্দ্রের জন্য ভােটগ্রহণ হয়েছে। এই সময়কালে চণ্ডীগড়ের একমাত্র লােকসভা আসনটিতেও ৫০ শতাংশের বেশি ভােট পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভােট পড়েছে সাংগুরে (৬২.৬৭ শতাংশ), এবং সবচেয়ে কম ভােট পড়েছে হােশিয়ারপুরে (৪৯.১১ শতাংশ)।

ভােট শুরু হওয়ার পরপরই লুধিয়ানা, সামানা এবং মােগা থেকে ইভিএম বিচ্যুতির খবর আসতে থাকে। পাঞ্জাবের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এস করুণা রাজু জানিয়েছে আটটি ব্যালট ইউনিট, ১৩টি কন্ট্রোল ইউনিট এবং আটটি ভিভিপ্যাট মেশিন বদলানাে হয়েছে।

কংগ্রেস ও আকালি-বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ভাটিন্ডার তালওয়ান্দি সাবাে এবং গুরুদাসপুর এলাকায়।