• facebook
  • twitter
Thursday, 15 May, 2025

কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় স্ত্রীকে হাতুড়ি, স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে মারধর স্বামীর

তাঁর স্বামীই হাতে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করার পাশাপাশি মুখে স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে গর্ত করে দেয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি উত্তরাখণ্ডের।

অপরাধ কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়া! আর সেই জন্য পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতে হল এক মহিলাকে। তাঁর স্বামীই হাতে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করার পাশাপাশি মুখে স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে গর্ত করে দেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি উত্তরাখণ্ডের। ভিডিও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ প্রথমে অভিযোগ দায়ের করতে চায়নি। পরে নির্যাতিতা মুখ্যমন্ত্রীর পোর্টালে অভিযোগ জানান। জাতীয় মহিলা কমিশনেরও দ্বারস্থ হন। পরবর্তীতে অবশ্য নড়েচড়ে বসে পুলিশ। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।

নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তাঁর বিয়ে হয়। এরপর থেকেই পণের দাবিতে অত্যাচার শুরু হয়। স্বামীর সঙ্গে শ্বশুর-শাশুড়িও নির্যাতন করতেন। এরই মধ্যে তিনি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন। প্রথম থেকেই চাপ ছিল পুত্রসন্তানের। কিন্তু তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এর ফলে অত্যাচার চরমে পৌঁছায়। এতটাই মারধর করা হয় যে ওই মহিলা দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

ওই মহিলার অভিযোগ, কন্যাসন্তান হওয়ার কারণেই তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর করেন। চুলের মুঠি ধরে মার, মুখে-হাতে স্ক্রু-ড্রাইভার ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। ঘটনাটি গত মাসের হলেও সোশাল মিডিয়ায় নির্যাতনের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি সামনে আসে। গত ৩০ মার্চ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। মহিলার মেডিক্যাল রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়। এরপর ওই মহিলার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নির্যাতিতা জানান, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁকে খুনের ছক কষেছিল, যাতে ডিভোর্স করে তিনি খোরপোশ চাইতে না পারেন। সেই কারণেই কাগজপত্র দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে ওইভাবে অত্যাচার চালানো হয় তাঁর উপর। আপাতত পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে অভিযুক্তকে। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।