• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ইভিএমে কারচুপি, শপথে নেই উদ্ধব শিবির

এদিন মহারাষ্ট্র বিধানসভার বাইরে ছত্রপতি শিবাজির মূর্তির তলার জড়ো হয়ে নতুন সরকারকে ‘অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত’ বলে তোপ দাগলেন তাঁরা।

ছবি: সংগৃহীত।

শনিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার ৩ দিনের বিশেষ অধিবেশন শুরু হল। কিন্তু সেখানে বিরোধী দলের কাউকেই দেখা গেল না । নব নির্বাচিত ‘মহা বিকাশ আঘাড়ি’-এর বিধায়কদের অভিযোগ, মহারাষ্ট্র নির্বাচনে ইভিএমে কারচুপি হয়েছে। সেই কারণে অধিবেশন বয়কট করে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসকে অসহযোগীতার বার্তা দিলেন তাঁরা। এদিন মহারাষ্ট্র বিধানসভার বাইরে ছত্রপতি শিবাজির মূর্তির তলার জড়ো হয়ে নতুন সরকারকে ‘অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত’ বলে তোপ দাগলেন তাঁরা।

শনিবারই আদিত্য ঠাকরে বলেছেন, ‘আজ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের বিজয়ী বিধায়করা কেউ শপথ নেবেন না। আমাদের সন্দেহ, ইভিএমে কারচুপির। আর তাই প্রতিবাদস্বরূপ আমরা শপথগ্রহণ করব না।’

Advertisement

বিরোধীদের বিক্ষোভের মধ্যেই বিধানসভার প্রো টেম স্পিকার বিজেপি বিধায়ক কালিদাস কলম্বকর নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করান। কোনও বিরোধী বিধায়ক শপথ নেননি। প্রসঙ্গত, এ বার বিধানসভা ভোটে মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনের মধ্যে ২৩৫টিতেই জিতেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন ‘মহাজুটি’।

Advertisement

হরিয়ানা হোক বা মহারাষ্ট্র, সম্প্রতি নির্বাচনে হারের পর ইভিএমের দিকে আঙুল তুলেছে বিরোধী শিবির। আগেও বার বার হারের কারণ হিসেবে ইভিএমকে দায়ী করা হয়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশনের তরফে এহেন অভিযোগ প্রতিবারই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে । মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের প্রশ্ন ছিল, প্রাথমিক ভোটের হার ও ভোটগণনার আগে চূড়ান্ত ভোটের হারের মধ্যে তফাত রয়েছে প্রায় ৭৬ লক্ষ ভোটের। প্রথমে জানা গিয়েছিল ভোট পড়েছে ৫৮.২২ শতাংশ। পরে জানানো হয় ভোট পড়েছে ৬৬.০৫ শতাংশ। অর্থাৎ আগে ও পরে প্রায় ৭.৮৩ শতাংশের পার্থক্য। এই অভিযোগেই সরব থেকে এবার শপথগ্রহণ করতে রাজি হলেন না বিরোধী জোটের বিধায়করা।

Advertisement