ফের যােগীরাজ্য, স্যানিটাইজার ঢেলে পুড়িয়ে মারা হল দুই সাংবাদিককে, গ্রেফতার তিন

গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশে এক সাংবাদিক ও তার বন্ধুকে স্যানিটাইজার দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানসহ তিন হামলাকারী গ্রেফতার।

Written by SNS Lucknow | December 2, 2020 4:15 pm

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশে এক সাংবাদিক ও তার বন্ধুকে স্যানিটাইজার দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানসহ তিন হামলাকারীকে সােমবার গ্রেফতার করলাে পুলিশ। লখনউয়ের সংবাদপত্র রাষ্ট্রীয় স্বরূপে লিখতেন ৩৭ বছরের সাংবাদিক রাকেশ সিং নির্ভিক ও তার বন্ধু পিন্টু সাউ (৩৪)।

শুক্রবার লখনউ থেকে প্রায় ১৬০ কিলােমিটার দূরে বলরামপুরে রাকেশের গ্রামের বাড়ি থেকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে পিন্টুর প্রাণ নেই। রাকেশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কিছুক্ষণের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে শেষ জবানবন্দিকে হাসপাতালে রাকেশ জানিয়েছেন তিনি নিয়মিতভাবে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও তার ছেলের দুর্নীতির বিষয়ে কাগজে লিখতেন। আড়াই মিনিটের ভিডিওয়ে তাঁকে বলতে শােনা গিয়েছে, সত্য কথা রিপাের্ট করার এই হল পুরস্কার।

ঘটনার তিনদিন পর বলরামপুর পুলিশ জানিয়েছে, এই অপরাধের জন্য তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন হল রিঙ্কু মিশ্র। সে পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে। আরেক অভিযুক্তের নাম আক্রম। তার বন্ধু ললিত মিশ্রকে খুনের অভিযােগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, দুই সাংবাদিকের গায়ে অ্যালকোহল সমৃদ্ধ স্যানিটাইজার ঢেলে তাদের জ্বালিয়ে দিয়েছে অভিযুক্তরা। 

বলরামপুরের পুলিশ সুপার দেব রঞ্জন বর্মা বলেছেন, একে দুর্ঘটনা বলে দাবি করে পিঠ বাঁচাতে চাইছে হামলাকারীরা। কিন্তু তাদের কথায় অনেক ফাঁকফোকড় রয়েছে। আমরা বুঝতে পেরেছি যে এটা ষড়যন্ত্র। পুলিশের সন্দেহ এই খুনের পেছনে দুটি মােটিভ থাকতে পারে। এক হল রাকেশের সাংবাদিকতা অথবা রিঙ্কুর সঙ্গে পিন্টুর পেমেন্ট নিয়ে দ্বন্দ্ব। 

এই ঘটনায় আরও অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। গত মাসেই লখনউয়ের এক হিন্দি দৈনিকের সাংবাদিক ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে সােনভদ্রের স্থানীয় পুলিশ। কারণ স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে এমনটা যে ঘটতে পারে তা আগেই আন্দাজ করতে পেরেছিলেন উদয় পাসােয়ান নামে ওই সাংবাদিক। সােমবার সকালে নিরাপত্তা চাইতে থানায় গিয়েছিলেন তিনি। ওই দিন রাতেই বাড়ি ফেরার সময় হামলা হয় উদয় এবং তার স্ত্রীর ওপর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় উদয়ের। স্ত্রীর মৃত্যু হয় হাসপাতালে।