দিন কয়েক আগেই কলকাতার বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে মারা গেছেন ত্রিপুরার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাস। পরবর্তী রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর নাম উঠে এসেছে।
রবিবার ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী সম্মেলন পর্যন্ত তিনিই দলের রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব সামলাবেন। সামনের বছরের গােড়াতেই সিপিএমের ত্রিপুরা রাজ্য সম্মেলন হবে।
Advertisement
মনে করা হচ্ছে সেখান থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্যও তাঁকেই দায়িত্ব দেবেন মানিক সরকাররা। কেননা ২০২৩ – এ ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন রয়েছে। জিতেন্দ্র চৌধুরী জনজাতি অংশের প্রতিনিধি।গণমুক্তি পরিষদের সভাপতিও ছিলেন তিনি একসময়। দক্ষিণ জেলার সাব্রুমের ভূমিপুত্র এই সিপিএম নেতা।
Advertisement
অনেকের মতে, ত্রিপুরার রাজনীতিতে জাতি-জনজাতি সমীকরণের ব্যাপার রয়েছে। সেটা ভেবেই হয়তাে জিতেন্দ্রকে রাজ্য সম্পাদক করল পার্টি। কেন না, জনজাতি অংশে সিপিএমের সমর্থন ক্রমশ নিম্নগামী। এপ্রিলে অনুষ্ঠিত স্বশাসিত জেলা পরিষদের ভােটে একটি আসন পায়নি বামেরা।
ফলে সেই জনসমর্থন ফেরাতে জিতেনকেই মুখ করতে চাইল দশরথদেব স্মৃতি ভবন। ত্রিপুরা সিপিএমের তরুণ কর্মীদের মধ্যে জিতেনের জনপ্রিয়তাও রয়েছে। সেদিক থেকেও দলের মধ্যেও উজ্জীবিত মনােভাব দেখা যাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
এখন ত্রিপুরা সিপিএমের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপি বিরােধিতার পরিসরে তৃণমূলের থাবা বসানােকে রুখে দেওয়া। জিতেনের নেতৃত্বে ত্রিপুরা সিপিএম সেই কাজে কতটা সফল হয় সেটাই এখন দেখার। একলা শাসক দল সিপিএম সাম্প্রতিক সময়কালে যথেষ্ট আক্রমনাত্মক বিজেপির প্রতি।
Advertisement



