সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ‘দীর্ঘমেয়াদে’ গোয়ায় ছিল এবং এই বছরের জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২০২২ সালে গোয়াতে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। সেই সময় তৃণমূলের কোনও প্রার্থী সেখানে জিততে না পারলেও তাঁরা দশ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। রাজ্য আহ্বায়ক মারিয়ানো রড্রিগেজের সঙ্গে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলের মুখপাত্র ট্রোজানো ডি’মেলো বলেন, ‘২০২২ সালে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস গোয়ায় এসেছিল , আমরা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। আমরা প্রায় ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছি। আমরা গোয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এখানে থাকার জন্য আছি।’
ডি’মেলো আরও বলেন, তাঁর দল এই বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ‘তৃণমূল কংগ্রেস দীর্ঘমেয়াদের জন্য এখানে রয়েছে’, জোরের সঙ্গে এদিন বলেন তিনি।
কিছুদিন থেকে তৃণমূলের অন্দরে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে গোয়া নিয়ে। আর তারই ফল হিসেবে চলতি বছরে সেখানে যে জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে সেখানে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার পানাজিতে ট্রোজানো ডি’মেলো এবং গোয়ার আহ্বায়ক ম্যারিনো রড্রিগেজ যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ডি’মেলো বলেন, ‘গোয়ার এআইটিসি কর্মীরা প্রতিদিন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। খুব বেশি শব্দ না করে আমরা সেখানে মানুষের সঙ্গে আছি।’
দলের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন সম্প্রতি রাজ্যসভায় গোয়ার সমৃদ্ধ উপকূলীয় সংস্কৃতি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। সংসদে এদিন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, বিজেপি সরকার গোয়ার জন্য কী করছে ? কিছুই না। গোয়ায় বিরোধী দল কী করছে? কিছুই না। ২০২২ সালে গোয়ার মানুষ কংগ্রেস থেকে ১১ জন বিধায়ককে বিধানসভায় নির্বাচিত করেছিলেন। ১১ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে আটজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁরা গোয়ার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।সেক্ষেত্রে গোয়ার জনগণকে রক্ষা করবে কে ?
সাংবাদিক সম্মেলনে দলের মুখপাত্র ট্রোজানো ডি’মেলো বলেন, এই সংস্কৃতি মূলত দুটি সম্প্রদায় নিয়ে গঠিত ছিল। “একটি হল মৎস্যজীবী সম্প্রদায়, অন্যটি হল টডি-ট্যাপিং সম্প্রদায়। তবে এখন তাদের নানা কারণে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় । তিনি আরও বলেন, মাছ ধরার ট্রলারগুলি এসে তাদের জীবিকা কেড়ে নিচ্ছে, লুটপাট করছে। এর ফলে ২০ হাজার মৎস্যজীবী এবং প্রায় এক লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ডিমেলো বলেন, দল দেখিয়েছে কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীদের কল্যাণে কাজ করতে হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সমুদ্র সাথী প্রকল্প চালু করেছে যার অধীনে প্রতিটি মৎস্যজীবী মাছ ধরার মরশুমে দুই মাসের জন্য ১০ হাজার টাকা এবং মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড পান।
Advertisement