জিরো আওয়ারে বক্তব্য রাখতে উঠে শতাব্দী দাবি করেন, ওড়িশা থেকে বাংলায় কথা বলা এক ব্যক্তিকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়েছে। লোকসভার অধ্যক্ষ তাঁকে বক্তব্য রাখতে বলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হলেও শতাব্দী কথা চালিয়ে গেলে আপত্তি জানান বিজেপি সাংসদরা। মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
Advertisement
বাধার মুখে প্রতিবাদে সরব হন শতাব্দী। পাশে দাঁড়ান মহুয়া মৈত্র। দু’জনেই সরাসরি স্পিকারের আসনের দিকে এগিয়ে যান। স্পিকারের নির্দিষ্ট মাইক ব্যবহার করে বক্তব্য চালিয়ে যেতে থাকেন শতাব্দী, লোকসভায় যা বিরল দৃশ্য। পরে প্রবীণ বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকা পাল আলোচনায় হস্তক্ষেপ করলে দু’জনেই আসনে ফিরে আসেন।
Advertisement
আসনে ফিরে শতাব্দীর মন্তব্য ফের নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়। তিনি বলেন, ‘বাংলায় কথা বললে যদি কাউকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়, তবে যাঁরা হিন্দি-উর্দুতে কথা বলেন, সেইসব বিজেপি সাংসদদের পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত।’ এই বক্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপি বেঞ্চ। শাসকদলের সাংসদরা নিজেদের আসন থেকেই কটাক্ষ শুরু করেন।
পরে বক্তব্য রাখতে উঠে পাল্টা জবাব দেন পুরীর বিজেপি সাংসদ সম্বিত পাত্র। তিনি দাবি করেন, ওড়িশা থেকে কোনও ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পাঠানো হয়নি। বাংলার সঙ্গে ওড়িশার শতাব্দীপ্রাচীন সাংস্কৃতিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাঙালিরা আমাদের ভাই। বাংলায় কথা বললে কেউ বিদেশি হয়ে যায় না। কিন্তু রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের অবৈধ নাগরিকদের থাকার জায়গা ওড়িশায় নেই।’
বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা ওড়িশায় বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বারবার হেনস্থার শিকার হয়েছেন। তাঁদের হাজতে পর্যন্ত থাকতে হয়েছে। দেশের নাগরিকদের প্রতি প্রতিবেশী রাজ্যের সরকারের বা প্রশাসনের এই দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত অমানবিক ও অসাংবিধানিক। এই প্রসঙ্গেই তৃণমূল ও বিজেপি সাংসদের তীব্র বাকবিতণ্ডায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল লোকসভা।
Advertisement



