ছত্তিশগড়ে ফের মাওবাদী দমন অভিযানে নেমে বড়সড় সাফল্য। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হল শীর্ষ মাওবাদী নেত্রীর। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের কাকের জেলায়। যৌথবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলা নেত্রীর। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র।
জানা গিয়েছে, একটি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। খবর আসে, একদল মাওবাদী লুকিয়ে রয়েছে কাঁকের জেলার ছোটেবেথিয়া থানা এলাকার আমাতোলা ও কালপার গ্রামের জঙ্গল ঘেরা অঞ্চলে। সঙ্গে সঙ্গে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড, বিএসএফ এবং স্থানীয় পুলিশ বাহিনীর একটি যৌথ দল অভিযান চালায়। ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু হয় এখানকার কত্রি নদীর তীরে ঘন জঙ্গলে। তখনই আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা নিরাপত্তাবাহিনী জবাব দিতেই দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলে। অবশেষে যৌথবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ওই মহিলা মাওবাদী নেত্রীর। তাঁর পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এই অভিযানে কোনও নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও রক্ষীর প্রাণহানি হয়নি বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত বর্তমানে ছত্তিশগড় ও তেলঙ্গানার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি অঞ্চল মাওবাদীদের অন্যতম ঘাঁটি হয়ে উঠেছে। শুধু সীমান্তবর্তী এলাকাই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও কেন্দ্র ও রাজ্যের নিরাপত্তা বাহিনী যৌথভাবে মাওবাদী সংগঠনের উপর কড়া পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে। এইসব অঞ্চল থেকে মাওবাদীদের ঘাঁটি সমূলে বিনাশ করতে ইতিমধ্যে প্রায় ৩ হাজার আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। গত এপ্রিল মাসের ২১ তারিখ থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে টানা অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই এলাকাভিত্তিক চিরুনি তল্লাশি চলছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক শুক্রবারের অভিযানকে সেই ধারাবাহিক লড়াইয়ের বড় সাফল্য বলেই মনে করছে।
উল্লেখ্য, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই ঘোষণা করেছিলেন, কেন্দ্র সরকার ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশকে সম্পূর্ণ মাওবাদমুক্ত করার লক্ষ্যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেই লক্ষ্যেই ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড-সহ একাধিক রাজ্যে লাগাতার মাওবাদী দমন অভিযান চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরে শুধু বস্তার অঞ্চলেই ২১৩ জন মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়েছে।