হাজার দেহ ছড়িয়ে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের গঙ্গার তীরে

গঙ্গার ১ হাজার ১৪০ কিলােমিটার যাত্রাপথে নদীর তীরে ২ হাজারেরও বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে। নদীতে ভাসতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ।

Written by SNS Lucknow | May 16, 2021 9:29 am

প্রতীকী ছবি (Photo: IANS)

উত্তরপদেশের ২৭ জেলায় গঙ্গার তীরে অসংখ্য মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে। গঙ্গার ১ হাজার ১৪০ কিলােমিটার যাত্রাপথে নদীর তীরে ২ হাজারেরও বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে। নদীতে ভাসতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। যেদিকেই চোখ পড়ছে, সেদিকেই মৃতদেহ। 

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মেরঠ, মুজফফরনগর, বুলন্দশহর, আলিগড়, বিজনৌর, শাহাজাহানপুর, প্রয়াগরাজ, বালিয়া, বারাণসী, গাজিপুর এইসব জেলার অবস্থা ভয়াবহ। সবচেয়ে খারাপ কানপুর, কনৌজ, উন্নাও, গাজিপুর ও বালিয়া। 

জানা যাচ্ছে, কনৌজের মহাদেবী গঙ্গার ঘাটের কাছে সাড়ে তিনশােরও বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে। বার বার মৃতদেহগুলির উপর মাটি চাপা দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু গঙ্গার জলস্তর বাড়লে মাটি সরে যাচ্ছে। ফলে নদীতে ভেসে যাচ্ছে মৃতদেহগুলি। 

এই একই ছবি কানপুরের শেরেশ্বর ঘাটের কাছে। এখানে ৪০০-র বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়া রয়েছে। মাটি সরে যাওয়ার ফলে মৃতদেহ বেরিয়ে পড়ছে। আর চিল, শকুম গিয়ে বসছে মৃতদেহর উপর। এর থেকে সংক্রমণ এবং দূষণ দুই-ই ছড়ার আশঙ্কা। 

উন্নাওয়ের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এর মধ্যে রয়েছে শুক্লাগঞ্জ ও বক্সার দু’টি ঘাট। এখানে ৯০০-র বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে। শেয়াল এবং কুকুর মৃতদেহগুলি টেনে বের করে খাচ্ছে।

উন্নাওয়ের পাশে ফতেপুর। এখানে ২০ টির বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে। প্রয়াগরাজ, বারাণসী, ভদোহী, মির্জাপুর, চন্দোলিতেও ৫০ টির বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে। এগুলি সবই গঙ্গার তীরবর্তী। স্থানীয় মানুষজন বিক্ষোভ দেখানােয় প্রশাসনের তরফে মৃতদেহগুলি বের করে এনে শেষকৃত্যও করা হচ্ছে।

গাজিপুরের পাশে বালিয়াতে গঙ্গার তীর থেকে ১৫ টি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ শেষকৃত্য করেছে। গাজিপুরে গঙ্গার তীরে ২৮০ টিরও বেশি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। পুলিশ প্রশাসন অনেক মৃতদেহ বের করে সৎকারের ব্যবস্থা করছে। কিন্তু প্রতিদিনই কে বা কারা ১২ থেকে ১৫ টি করে মৃতদেহ পুঁতে দিয়ে যাচ্ছে।

ভয়ঙ্কর অবস্থা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে। মৃতদেহ গঙ্গায় ভাসলে জল দূষিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর মৃতদেরে উপর চিল, শকুন, কুকুরের উপদ্রব বাড়লে দূষণ বাড়ারও আশঙ্কা থাকে। সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ভয়ঙ্কর ছবি উঠে এসেছে, যা পুলিশ প্রশাসনের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।