দিল্লি সীমানায় দীর্ঘদিন ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে আপতত ইতি টানলেন কৃষকরা। অনুষ্ঠানিক ভাবে সরকারি চিঠি আসার পরই তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এর আগে মোদী সরকারের তরফে কৃষকদের দাবি মেনে পদক্ষেপ করার খসড়া প্রস্তাব আসে। তারই অনুষ্ঠানিক চিঠি আসার পর বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন কৃষক নেতারা।
এই বৈঠকে সহমতের ভিত্তিতে তাঁরা ৩৭৮ দিনের আন্দোলনে আপাতত ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন। কেন্দ্রীয় কৃষি সচিবের পাঠানো চিঠিতে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি-র আইনি গ্যারান্টি প্রসঙ্গে সরকার প্রস্তাব দিয়েছে, সব কৃষকের জন্য এমএসপি নিশ্চিত করার পথ খুঁজতে কমিটি তৈরি করা হবে।
Advertisement
সেই কমিটিতে কৃষক মোর্চার প্রতিনিধিরাও থাকবেন। কেন্দ্র চিঠিতে জানিয়েছে, আন্দোলনের সময় কৃষকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারে বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ।
Advertisement
কেন্দ্রীয় সংস্থাও সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। অন্য রাজ্যগুলিকে এ নিয়ে অনুরোধ জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, বিদ্যুৎ আইন সংশোধনী বিল প্রসঙ্গে কৃষকদের আপত্তির বিষয়গুলি নিয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা হবে। তার আগে ওই বিল সংসদে পেশ হবে না।
খড় পোড়ানো বন্ধ করার আইনে কৃষকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের ধারা আগেই প্রত্যাহার করা হয়েছে। চিঠিতে কেন্দ্র নিজে আন্দোলনে মৃত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস না দিলেও জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা আগেই ক্ষতিপূরণে সম্মতি জানিয়েছে।
আন্দোলন প্রত্যাহার করার ঘোষণার পাশাপাশি শনিবার সকাল ৯ টায় সিঙঘু ও টিকরি সীমানায় একটি বিজয় মিছিল বার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষকরা। ওই দিন থেকে তাঁবু সরানোও শুরু করবেন তাঁরা। ১৩ ডিসেম্বর পাঞ্জাবের কৃষকরা অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে প্রার্থনা করবেন বলে জানা গিয়েছে। ১৫ জানুয়ারি ফের বৈঠক বসবে সংযুক্ত কিসান মোর্চা।
Advertisement



