সাফল্যের কোনও লিফট নেই, সিঁড়িই আছে : মোদি

ফিট ইন্ডিয়ার প্রচার করার জন্যে জাতীয় ক্রীড়া দিবসকেই বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।

Written by SNS New Delhi | August 30, 2019 4:47 pm

নরেন্দ্র মোদি (Photo: Twitter | @BJP4India)

ফিট ইন্ডিয়ার প্রচার করার জন্যে জাতীয় ক্রীড়া দিবসকেই বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। এই প্রচার কর্মসুচির সুচনায় দেশের জনগণকেও এর অংশ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। ২৫ আগস্ট ‘মন কি বাত’ এর মাসিক রেডিও ভাষণেই প্রধানমন্ত্রী মােদি এই প্রচার শুরু করার ঘােষণা করেন।

‘আপনার ফিট থাকার জন্য কিছুটা বিষয় মেনে চলা দরকার। জাতীয় ক্রীড়া দিবস বা রাষ্ট্রীয় খেল দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি দেশের মানুষকে ফিট ইন্ডিয়া আন্দোলনে যােগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাই এই কর্মসূচিতে যােগ দিয়ে ভারতকে এক তারুণ্যে ভরপুর ইতিবাচকতায় পূর্ণ ফিট দেশ হিসাবে গড়ে তুলুন’।

প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে টুইট করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, ‘ফিট ইন্ডিয়া আন্দোলন শুরুর জন্য প্রধানমন্ত্রী মােদির সঙ্গে যােগ দিতে সবাই প্রস্তুত। আসুন আমরা ফিট হয়ে উঠি এবং ভারতকে একটি ফিট জাতি হিসাবে গড়ে তুলি’।

ফিট ইন্ডিয়া প্রচার কর্মসূচির প্রশংসা করেছেন বলিউডের অভিনেতারাও। অভিনেতা ঋষি কাপুর টুইট করেন, ‘২৯ আগস্ট ফিট ইন্ডিয়া আন্দোলন শুরু করার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মেদি এবং ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে অভিনন্দন। আমি নিশ্চিত যে এটি সমস্ত ভারতীয়কে ফিট এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার মানিয়ে নেওয়ার সহজ এবং মজাদার উপায় খুঁজে পেতে অনুপ্রাণিত করবে’।

জাতীয় ক্রীড়া দিবসে ফিট ইন্ডিয়ার কর্মসূচি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি বলেন, ‘ভারতকে ফিট ও সুস্থ রাখার দিক থেকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই অনুষ্ঠানটি এত ভালভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে আমি অনুভব করছি যে আমার কোনও ভাষণেরই দরকার নেই, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে তাই-ই মানুষের কাছে ফিট ইন্ডিয়ার বিষয়টি সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা দেব। এটি অবশ্যই একটি গণ আন্দোলনে পরিণত হবে। এই অনুষ্ঠানে দেখানাে ভিডিওগুলি অবশ্যই ভারতের সমস্ত শিক্ষার্থীদের দেখানাে উচিত’।

‘আমাদের অ্যাথলিট এবং ক্রীড়াবিদরা গােটা বিশ্বের সামনে আমাদের গর্বিত করে তােলেন এবং নিশ্চিত করেন যে তারা যেখানেই যাবেন সেখানেই ভারতের জয়ের পতাকা উড়বে। তারা সমগ্র জাতি এবং আমাদের সকল নাগরিকের জন্য সম্মান নিয়ে আসেন….’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

নরেন্দ্র মােদি বলেন, ‘ফিট ইন্ডিয়া আগের সমস্ত লক্ষ্যকে ছাপিয়ে যাবে। এটি দেশের সামগ্রিক ফিটনেসের সঙ্গে এবং সমস্ত বয়সের মানুষের সঙ্গে জড়িত। ফিটনেস মানে কেবল ফিট থাকাই নয়, বরং স্বাস্থ্যকর এবং সুখী হওয়াই হল সামগ্রিক ফিটনেস’। আমাদের সমাজে লাইফস্টাইল ডিজঅর্ডার বাড়ছে। কেবলমাত্র ফিটনেস-সচেতন হয়েই আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে আমাদের স্বাস্থ্য এবং সুস্বাস্থ্য নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ফিটনেস কেবল ভারতরেই আন্দোলন নয়, বিশ্বব্যাপী এটিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। চিন ‘স্বাস্থ্যকর চিন’ নামে একটি গণ-প্রচারণা শুরু করেছে যার মাধ্যমে তারা ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিটি জাতীয় নাগরিকের সামনে ফিট হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে…. বিশ্বজুড়ে একই রকম আরও কর্মসূচি রয়েছে। একটি স্বাস্থ্যকর বা ফিটনেস সচেতন দেশই একটি শক্তিশালী দেশ হতে পারে, বলেন প্রধানমন্ত্রী’।

নরেন্দ্র মােদি একথাও বলেন, সাফল্যের কোনও লিফট নেই (এক্ষেত্রে ফিটনেস), আপনাকে সিঁড়ি দিয়েই উঠতে হবে। এটি সত্য যে সাফল্য এবং ফিটনেসের মধ্যে একটি অবিচ্ছেদ্য বন্ধন রয়েছে। আপনি মানসিকভাবে ফিট এবং শারীরিকভাবে ফিট না হলে আপনি কোনও কিছুর মধ্যে সফল হতে পারবেন না।