দিনের পর দিন দাবি মানেনি কেন্দ্র। এমনকি আলোচনা নিয়েও কোনও ইঙ্গিত দেয়নি সরকার। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি কার্যত অনাস্থা প্রকাশ করে নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে পাঞ্জাব বনধ ডেকেছিলেন কৃষকরা। সোমবার সেই ১২ ঘণ্টা বন্ধে স্তব্ধ হয়ে গেলো গোটা পাঞ্জাব। কৃষকদের বিক্ষোভের জেরে ২২১ টি ট্রেন বাতিল হয়ে যায়। অবরুদ্ধ ছিলো ২০০টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ। বন্ধ ছিল দোকানপাট।
ফসলের ন্যূনতম সহায়কমূল্যে (এমএসপি) আইনি নিশ্চয়তা-সহ ১৩ দফা নিয়ে কৃষকদের এই আন্দোলন বেশ কয়েকদিন চলছে। সংযুক্ত কিসান মোর্চা (অরাজনৈতিক) এবং কিসান মজদুর মোর্চা আগেই জানিয়েছিলো সোমবার সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত বনধ হবে পাঞ্জাবে। তবে জরুরি পরিষেবা বনধের আওতা থেকে বাদ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিলো।
Advertisement
এদিন সকাল থেকেই পাঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় কৃষকদের জমায়েত হতে থাকে। এরপরই শুরু হয় রেল অবরোধ। জলন্ধর-দিল্লি জাতীয় সড়ক, অমৃতসর-দিল্লির মতো গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়েতে বসে পড়েন তাঁরা। কৃষকদের অবরোধে বন্ধ হয়ে যায় মোহালি বিমানবন্দর যাওয়ার পথও।
Advertisement
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দিল্লি সংলগ্ন পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার শম্ভু সীমান্তে আন্দোলন শুরু করেছিলেন কৃষকরা। বারবার চেষ্টা করেও তাঁরা রাজধানীতে ঢুকতে পারেননি। এরপর ২৬ নভেম্বর কৃষক নেতা জগজিৎ সিংহ ডাল্লেওয়াল আমরণ অনশন শুরু করলে কৃষক নেতারা নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। এবার ১২ ঘন্টা পাঞ্জাব বনধ সফল করার পর কেন্দ্রকে বার্তা দিয়ে কৃষক নেতা অভিমন্যু কোহার জানিয়েছেন, ‘আমাদের দাবিগুলি অত্যন্ত স্পষ্ট। তা সত্ত্বেও আমাদের আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বার কেন্দ্রকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী করবে।’
Advertisement



