ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বা চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারির পর থেকে অশান্ত বাংলাদেশ। সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ নেমে আসছে। এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে একটি ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের প্রবেশ পথে বিছানো রয়েছে ভারতীয় জাতীয় পতাকা। তেরাঙ্গা পা-এ মাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। যদিও সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি দৈনিক স্টেটসম্যান।
এবার এই পতাকা ইস্যুতেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বাংলাদেশি সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, বিশ্বের কোনও পতাকাকে কোনও সুস্থ মস্তিস্কসম্পন্ন মানুষ অবমাননা করে না। আমি বিশ্বের প্রতিটি পতাকাকে সম্মান করি, প্রতিটি দেশের জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান জানাতে আমি উঠে দাঁড়াই। পাকিস্তান যে এত আমাদের শত্রু দেশ, আমি পাকিস্তানের পতাকাকেও পোড়াবো না, পায়ে মাড়াবো না। বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীরা ভারতের পতাকাকে পায়ে মাড়িয়ে যে সুখ পাচ্ছে, সে সুখ বিকৃত সুখ। যে মস্তিস্কে ঘৃণা থিকথিক করে, সে মস্তিস্ক অসুস্থ মস্তিস্ক। দুঃখ এই, বাংলাদেশ নামের দেশটি অসুস্থ অশিক্ষিত অপ্রকৃতিস্থ লোকের দেশ হয়ে উঠছে।
এর আগেও একাধিকবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন তসলিমা। ইউনূস সরকারকে একহাত নিয়েছেন তিনি। তসলিমার তোপ, যত দ্রুত ইউনুস সাহেব তাঁর সাঙ্গপাঙ্গসহ ক্ষমতা ছাড়েন, তত বাংলাদেশের জন্য ভাল। দেশের যত ক্ষতি তাঁর জ ঙ্গি বন্ধুরা গত তিন মাসে করেছে, তা থেকে মুক্তি পেতে দেশটির তিন যুগের বেশি সময় লাগবে।
ইউনূসকে কটাক্ষ করে তসলিয়া নাসরিন সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ইউনুস এবং তাঁর জ ঙ্গি বন্ধুরা প্রচণ্ড ভারতবিদ্বেষী। ভারত যদি চাল ডাল পেঁয়াজ রসুন আলু পটল নুন চিনি গরু খাসি পাঠানো বন্ধ করে দেয়, তবে বাংলাদেশের মানুষ কী খেয়ে বাঁচে একবার দেখতে ইচ্ছে করে। যদি জল বন্ধ করে দেয়, যদি বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়?