তবলিঘি জামাত প্রধান মৌলানা সাদ কানধলভির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এবার দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ’কে চিঠি লিখলেন মৌলানা। জানালেন, তিনি তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।
নিজামুদ্দিনের ঘটনা যখন তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল, একের পর এক সংক্রামিরে জামাত যোগ উঠে আসছিল সেই সময়ে হঠাৎ করেই ‘নিরুদ্দেশ’ হয়ে গিয়েছিলেন মৌলানা। তারপর কয়েকদিন পর একটি ভিডিও প্রকাশ করে তিনি জানান তিনি নিজেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে।
Advertisement
গত ৮ এপ্রিল কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ হয়েছে জামাত প্রধানের। তারপর তাঁর বিরুদ্ধে একের পড় এক মামলা রুজু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ যে ধারা দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ৩৪৫ ধারা (হত্যা)। দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ’কে চিঠি লিখে মৌলানা বলেছেন, আপনারা যে নোটিস পাঠিয়েছিলেন আমি ইতিমধ্যেই তার জবাব দিয়েছি। এরপর তদন্তে আমার যা সাহায্য দরকার আমি তাই করতেই প্রস্তুত আছি।
Advertisement
ভারতে সংক্রামিতদের একটা বড় অংশ নিজামুদ্দিন থেকে ফেরা জামাত সদস্য। কেন্দ্রের বক্তব্য, নিজামুদ্দিনের ওই জমায়েত সংক্রমণের মাত্রাকে এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। তবলিঘি জামাত সুন্নি মুসলমানদের সবচেয়ে বড় সংগঠন। পৃথিবীর ৮০’টি দেশে রয়েছেন জামাত সদস্যরা। নিজামুদ্দিনে এসেছিলেন অন্তত ৩৯’টি দেশের নাগরিক।
মার্চের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় ন’হাজার লোক জড়ো হয়েছিল শতাব্দী প্রাচীন মসজিদে। এখনও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কয়েক হাজার বিদেশি জামাত সদস্য কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে রয়েছেন। শুধু দিল্লি পুলিশ নয়, মৌলানার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডিও।
Advertisement



