• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ওবিসি শংসাপত্র মামলায় রাজ্যের থেকে হলফনামা তলব শীর্ষ আদালতের

দিল্লি, ৫ আগস্ট – ওবিসি শংসাপত্র মামলায় নোটিস জারি করল শীর্ষ আদালত। হাই কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছিল রাজ্যের প্রায় ১২ লাখ ওবিসি শংসাপত্র। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার শীর্ষ আদালতে সেই মামলার প্রথম শুনানি ছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সোমবার ওবিসি তালিকাভুক্ত ৭৭টি সম্প্রদায়ের বিষয়ে রাজ্যের থেকে হলফনামা

দিল্লি, ৫ আগস্ট – ওবিসি শংসাপত্র মামলায় নোটিস জারি করল শীর্ষ আদালত। হাই কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছিল রাজ্যের প্রায় ১২ লাখ ওবিসি শংসাপত্র। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার শীর্ষ আদালতে সেই মামলার প্রথম শুনানি ছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সোমবার ওবিসি তালিকাভুক্ত ৭৭টি সম্প্রদায়ের বিষয়ে রাজ্যের থেকে হলফনামা তলব করেছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা-সহ হলফনামা জমা দিতে হবে রাজ্যকে। রাজ্যের বক্তব্য জানার পর আগামী সপ্তাহের শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
ওবিসি তালিকাভুক্ত ওই ৭৭টি সম্প্রদায় নিয়ে কী ধরনের সমীক্ষা করা হয়েছিল, তা শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ করতে হবে রাজ্যকে। পাশাপাশি রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত কমিশনের সঙ্গে রাজ্যের কোনও আলোচনা হয়েছিল কি না, সে কথাও জানাতে হবে হলফনামায়। সোমবার রাজ্যের তরফে হাই কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সোমবারের শুনানি পর্বে কোনও স্থগিতাদেশ দেননি হাই কোর্টের নির্দেশের উপর। আগামী সপ্তাহের শুনানিতে স্থগিতাদেশের আবেদন শোনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের পর যে ওবিসি শংসাপত্রগুলি তৈরি হয়েছিল, সেগুলি আইন না মেনেই তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। গত ২২ মে হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, ২০১০ সালের পর তৈরি হওয়া সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের জন্য।

উল্লেখ্য, হাই কোর্টের ওই নির্দেশের ফলে রাজ্যে ২০১০ সালের পর ইস্যু হওয়া প্রায় ১২ লাখ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়েছিল। উচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, কোনও চাকরির সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বা অন্য কোনও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ওই শংসাপত্র ব্যবহার করা যাবে না। হাই কোর্টের নির্দেশের পরই তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার ও রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত কমিশন ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে মূল মামলাকারীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

Advertisement

Advertisement