কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবার পা রাখতে চলেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে তাঁর নিয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আইন মন্ত্রক জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীকে নিযুক্ত করেছেন। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল সমাজ মাধ্যমে এই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম বিচারপতি বাগচীর নাম সুপারিশ করেছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি হিসেবে। সেই নামে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম আগেই বিচারপতি বাগচীর নাম সুপারিশ করে। গত ৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশ অনুসারে এবার পদক্ষেপ করল আইন মন্ত্রক। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে একমাত্র বাঙালি বিচারপতি হিসেবে রয়েছেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল জয়মাল্য বাগচীর নাম।
২০১১ সালের ২৭ জুন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। এর পরে সাময়িকভাবে তাঁকে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে বদলি করা হলেও, ওই বছরই তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন এবং ৮ নভেম্বর ফের কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হন। এখনও কলকাতা হাইকোর্টেই রয়েছেন তিনি। ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে উচ্চ আদালতের বিচারপতি হিসাবে কাজ করছেন জয়মাল্য বাগচী।
২০৩১ সালের ২৫ মে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেওয়ার কথা বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের। তার পরেই দেশের প্রধান বিচারপতি হওয়ার সম্ভাবনা বিচারপতি বাগচীর। যদিও সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ স্বল্প সময়ের জন্য হতে পারে।
২০১৩ সালের ১৮ জুলাই আলতামাস কবীর শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন। তার পর থেকে কলকাতা হাই কোর্টের কোনও বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হননি। মনে করা হচ্ছে, বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন ২০৩১ সালের ২৫ মে অবসর নিলে জয়মাল্য বাগচী তাঁর পদে দায়িত্ব নেবেন।