মোদি, শাহকে নিয়ে কমিশনকে ধাক্কা সুপ্রিম কোর্টের

লােকসভা নির্বাচন চলাকালীন নির্বাচন বিধি লঙ্ঘের অভিযােগে ইতিমধ্যেই শাসক-বিরােধী শিবিরকে সতর্ক করার কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে সবটাই হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ধাক্কায়।

Written by SNS New Delhi | May 3, 2019 12:11 pm

মোদি এবং অমিত শাহ (Photo: RAVEENDRAN/AFP/Getty Images)

লােকসভা নির্বাচন চলাকালীন নির্বাচন বিধি লঙ্ঘের অভিযােগে ইতিমধ্যেই শাসক-বিরােধী শিবিরকে সতর্ক করার কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে সবটাই হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ধাক্কায়। তবে কংগ্রেসের বারবার করা অভিযােগের পরও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে নির্বাচন কমিশন।

এবার নির্বাচন কমিশনকে জাগিয়ে তুলতে জোর ধাক্কা দিল সুপ্রিম কোর্ট। মােদি-শাহর বরুদ্ধে কমিশনকে সােমবারের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের অভিযােগের কারণে নির্বাচন কমিশনকে এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

কমিশন মােদি-শাহকে নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে শীর্ষ আদালতে নালিশ করেছিল কংগ্রেস। তবে কমিশনের তরফ থেকেও একটি উত্তর দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালতে কমিশন জানিয়েছে, দুটি অভিযােগই তারা খতিয়ে দেখছে। বুধবারের মধ্যে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে তারা।

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিপাের্ট আদালতে বৃহস্পতিবার জমা দেওয়ার কথা জানান হয়েছে আদালতে। তবে কমিশনকে বাড়তি সময় দিতে নারাজ শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন রঞ্জন গগৈর বেঞ্চ আজ এই নির্দেশ দিয়েছে।

কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর বিরুদ্ধে ১১টি অভিযােগ জমা পড়েছে। এদের মধ্যে মাত্র দুটির যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেই দুটিতেই প্রধানমন্ত্রীকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে। ভােট থাকায় তাদের আরও সময় প্রয়ােজন বলে আদালতে আবেদন করে কমিশন।

শীর্ষ আদালতে কংগ্রেসের নেত্রী সুনিতা দেব অভিযোগ করেন, ভােটারদের মধ্যে ধর্মীয় মেরুকরণ করতে ঘৃণার বার্তা ছড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্র নরেন্দ্র মােদি এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সেই সঙ্গে তিনি আরও অভিযােগ করেছেন, ভােট পেতে নির্বাচন কমিশনের বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে জনসভাগুলিতে সেনাবাহিনীকে ইস্যু করছে মােদি।

এপ্রিল মাসেই নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা দেখে ক্ষুব্ধ হয় সুপ্রিম কোর্ট। কমিশনের তরফে জানান হয় ঘৃণার বক্তব্য আটকাতে তারা অক্ষম। তারই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে নিজেদের ক্ষমতার সীমারেখা সম্পর্কেও অবগত করে সংস্থা। তারপরই কমিশনের ব্যাখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তােলে শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের ভৎসনার পর নড়েচড়ে বসে নির্বাচন মিশন। যােগী আদিত্যনাথ, মায়াবতী, মেনকা গান্ধি সহ বেশ কয়েকজন শাসক-বিরােধী নেতা-নেত্রীকে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযােগে সাবধান করে নােটিশ পাঠায় নির্বাচন কমিশন।

কংগ্রেসের দায়ের করা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযােগের দুটিতেই ক্লিনচিট দেয় নির্বাচন কমিশন।