মুম্বই: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সব সময় হাসিখুশি মেজাজে ধরা দেন বলিউড অভিনেত্রী সারা আলী খান৷ তাই অনেকেরই ধারণা, সারার ব্যক্তিত্বে গভীরতার অভাব আছে৷ আর তিনি মোটেও জীবন এবং তাঁর কাজের ক্ষেত্রে সিরিয়াস নন বলেও কেউ কেউ মনে করেন৷ তবে এই ইমেজের বাইরে তাঁর এক অন্য রূপও আছে৷ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সারা এ নিয়ে নানান কথা বলেছেন৷ নেটফ্লিক্সের পর এবার অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর পর্দায় সারা৷ গত ১৫ মার্চ নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ছবি ‘মার্ডার মুবারক’৷ এরপর ২১ মার্চ অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পায় সারা অভিনীত সিনেমা ‘অ্যায়ে বতন মেরে বতন’ ছবিটি৷ এ দুই ছবিতে সম্পূর্ণ অন্য রূপে ধরা দিয়েছেন তিনি৷
‘মার্ডার মুবারক’ ছবিতে তাঁকে দিল্লির এক অভিজাত পরিবারের আধুনিক মেয়ের চরিত্রে দেখা গেছে৷ অন্য ছবিতে তিনি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী উষা মেহতার ভূমিকায়৷ আর এ দুই ভিন্ন ভূমিকায় সারার অভিনয় সবার মন ছুঁয়ে গেছে৷
সারা মনে করেন, পর্দার বাইরে তাঁর হাসিখুশি ইমেজ আর ছটফটে স্বভাবের জন্য অনেকেই তাঁকে হালকাভাবে নেন৷ এ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমি মজা করতে পছন্দ করি৷ চেষ্টা করি সব সময় আনন্দে থাকতে৷ এই ইমেজ আমার জন্য কতটা ক্ষতিকর, তা আমার জানা আছে৷ মানুষের ধারণা, আমি শুধু এসবই করতে পারি৷ আমি যদি আপনার সঙ্গে কফি খেতে খেতে কৌতুক বলি, তার মানে এই নয় যে আমার মধ্যে শালীনতার অভাব আছে৷ আমার ব্যক্তিত্বে ওজন নেই তা কখনো নয়৷ আমার মনে হয়, মানুষ আমাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিচার করেন৷ আমার মধ্যে হাস্যরস আর আত্মসম্মানবোধ—দুটি একসঙ্গে কেন থাকতে পারবে না৷’
‘অ্যায়ে বতন মেরে বতন’ ছবি মুক্তির পর সারা সবাইকে অবাক করেছেন৷ অনেকেই তাঁকে এ রকম সিরিয়াস চরিত্রে ভাবতেই পারেননি বলে অভিনেত্রী জানিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, ‘এই ছবির প্রোমো মুক্তির পর অনেকেই আমাকে সিরিয়াস চরিত্রে দেখে চমকে গেছেন৷ অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছিল যে এ রকম এক চরিত্রে আমি কী করছি? তবে এ রকম এক শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করে আমি রীতিমতো গর্ববোধ করছি৷ আরও গর্ববোধ করছি সবাইকে চমকে দিতে পেরে৷’
