সুশান্ত মামলায় নতুন মােড়, গ্রেফতার রিয়া

টানা তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার দুপুরে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরাে (এনসিবি)।

Written by SNS Mumbai | September 9, 2020 5:36 pm

এনসিবি অফিসের বাইরে রিয়া চক্রবর্তী। (Photo: Twitter/@Neil_Panchtilak)

টানা তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার দুপুরে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরাে (এনসিবি)। রবিবার থেকে টানা জেরার মুখে পড়েন তিনি। রবি, সােম, মঙ্গলবারও রিয়াকে জেরার মুখে পড়তে হয়। 

এদিন বেশ কিছুক্ষণ জেরার পর দুপুরে রিয়াকে গ্রেফতার করে এনসিবি। বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ তার মেডিকেল টেস্ট হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাকে আদালতে পেশ করা হয়। রবিবার একটানা ৮ ঘণ্টা জেরার মুখে পড়েছিল রিয়া। ভাই সৌভিকের মুখােমুখি বসিয়ে তাকে সােমবার ৬ ঘণ্টা জেরা করা হয়। 

এরপর ফের এদিন ডাকা হয়েছিল রিয়াকে এনসিবি’র সদর দফতরে। সেখানে ৫ ঘণ্টা জেরার পর রিয়াকে গ্রেফতার করে এনসিবি। এনসিবি’র ডেপুটি ডিরেক্টর কে পি এস মালহােত্রা সংবাদমাধ্যমকে জানান, রিয়াকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ডেপুটি ডিরেক্টরের এই মন্তব্যের পর রিয়ার গ্রেফতারের খবরের সত্যতা মেলে।

তবে, রিয়া যে গ্রেফতার হতে পারে তা আগাম আঁচ করতে পেরেছিলেন অনেকেই। এর মধ্যে ছিলেন আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে। কারণ, দু-একদিন আগে সতীশ মানশিণ্ডে বলেছিলেন, ‘ভালােবাসার জন্য গ্রেফতার হতে প্রস্তুত রিয়া।’ অন্যদিকে, মেয়ের বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল নিয়ে সােচ্চার হয়েছিলেন রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেছিলেন, ‘অভিনন্দন ভারত। আমার ছেলেকে গ্রেফতার করার জন্য। আমি নিশ্চিত এরপর আমার মেয়ের পালা। এদিন রিয়ার বাবার আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হল।

মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাড়ি থেকে ১৪ জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মুম্বই পুলিশের হাতে প্রথমে তদন্তভার ছিল। পরে তদন্তভার নেয় সিবিআই, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। এই মামলায় রিয়ার হােয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে মাদক-যােগের যােগসূত্র উঠে আসে।

এরপর তদন্তে নামে এনসিবি। গ্রেফতার হতে হয় রিয়ার ভাই সৌভিক ও সুশান্তর প্রাক্তন ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরাণ্ডাকে। এরপর সুশান্তর হাউস-হেল্প দীপেশকে। তারা ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হেফাজতে রয়েছে। তদন্তে নেমে রিয়ার মাদক-যােগের সঙ্গে জয়া সাহা এবং সিদ্ধার্থ পিঠানির নামও উঠে এসেছে। চারফোটা জলে বা চায়ে মিশিয়ে ওকে সিপ করাও..। দেখবে ৩০-৪০ মিনিট পর মাতাল হয়ে যাবে।’ 

এখানেই শেষ নয়, দেখা যায় সিদ্ধার্থের কাছ থেকে রিয়া জানতে চায়, মাদকের গুণমান সম্পর্কে। সুশান্তর জন্য প্রথমে রিয়া মাদক কেনার কথা অস্বীকার করলেও পরে রিয়া স্বীকার করে নেন, সুশান্তর কর্মচারী দীপেশকে দিয়ে তিনি মাদক আনিয়েছেন। 

‘কেদারনাথ’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় থেকেই সুশান্ত মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে রিয়া দাবি করেন। অনেক তথ্যই রিয়া গােপন করেছিলেন কিন্তু পরে এনসিবি’র হাতে এমন কিছু অকাট্য প্রমাণ আসে, যাতে রিয়া নিজেকে আড়াল করতে পারেননি। তিনি নিজে মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন।

এদিকে, রবিবার যখন এনসিবি’র দফতরে রিয়া যাচ্ছেন, তখন অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন মেয়ে বলে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। সামনে বিহার ভােট বলে রাজনীতির বলি হচ্ছেন রিয়া। কিন্তু সেসব নিয়ে আলােচনা ও জল্পনা চললেও মঙ্গলবার দুপুরে রিয়াকে গ্রেফতার হতে হয়। তার রক্তে মাদকের নমুনা রয়েছে কিনা তা জানার জন্য মাদক-টেস্টও করা হবে। সেই সঙ্গে হবে করােনা টেস্টও। নমুনা রয়েছে কিনা তা জানার জন্য মাদক-টেস্টও করা হবে। সেই সঙ্গে হবে করােনা টেস্টও।