রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন রঞ্জন গগৈ, ওয়াক আউট বিরোধীদের

২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেন রঞ্জন গগৈ। তার ঠিক চার মাসের মাথায় গত ১৬ মার্চ তাঁর নাম রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

Written by SNS New Delhi | March 20, 2020 4:16 pm

রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন রঞ্জন গগৈ।(Photo: Twitter/Sunil_Deodhar)

রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ । তবে তাঁকে সাংসদ করায় তীব্র বিরোধিতা করে ওয়াক আউট করে কংগ্রেস ও বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদরা। প্রতিবাদে শামিল হয় বাম, ডিএমকে ও এমডিএমকেও। 

২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেন রঞ্জন গগৈ। তার ঠিক চার মাসের মাথায় গত ১৬ মার্চ তাঁর নাম রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তার পর থেকেই এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। 

নিয়োগের বিরোধিতায় প্রশ্ন তুলছেন দেশের শীর্ষ আদালতে দীর্ঘদিন বিচারপতির দায়িত্ব পালন করা তার প্রাক্তন সতীর্থরা। প্রশ্ন তুলছে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তারই মাঝে দেশের শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যসভায় তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে, তিনি তা স্বীকার করছেন। বলেছেন, আমাকে শপথ নিতে দিন। শপথগ্রহণের পরেই বলব, সব কথা। কেন এই প্রস্তাব স্বীকার করেছি, বলব সে কথাও। 

মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ কেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাব গ্রহণ করে রাজ্যসভায়। মনোনয়নের ক্ষেত্রে দু’বছর অপেক্ষা করলেন না? প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। 

তাঁর এই মনোনয়ন দেশের বিচারব্যবস্থার উপরে সাধারণ নাগরিকদের ভরসা কমিয়ে দেবে, মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে এমনই অভিযোগ করেছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আর এম লোধা সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়েছিলেন, দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতিদের উচিত তাঁদের অবসর গ্রহণের পরে অন্তত দু’বছর কোনও সরকারি পদ গ্রহণ না করা। এই নীতি মানলেন না গগৈ। মনে রাখতে হবে, দেশের বিচারব্যবস্থাকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ রাখার দায় শুধু দেশের বর্তমান বিচাৰ্ক ও বিচারপতিদের উপরে বর্তায় না, এর দায়িত্ব বর্তায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের উপরেও। দেশের সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের উপরেইন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই বিশ্বাসই যদি না থাকে, তা হলে ন্যায়ের প্রশ্নই ওঠে না। 

লোকসভার ভিতরে দাঁড়িয়েও কল্যাণ বলেন, পুরো বিষয়টি নির্লজ্জ সিদ্ধান্ত প্রকৃতপক্ষে এটা সমগ্র জাতির লজ্জা। তবে, এই কথাগুলি অবশ্য সভার কার্যবিবরণীতে ঠাঁই পায়নি।