জেলবন্দি শুধুই লোকদেখানো। বাস্তবে প্যারোলের সুবিধাকে হাতিয়ার করে নিজের ডেরাতেই বেশি সময় কাটাচ্ছেন ধর্ষণ ও খুনের অপরাধী রামরহিম। এবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক মুখে ৩০ দিনের প্যারোলে মুক্তি পেল ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ডেরা সাচা সৌদা প্রধান গুরমিত রামরহিম সিং। মঙ্গলবারই জেল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে এই অপরাধীকে। দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অপরাধে ২০১৭ সাল থেকে ২০ বছর কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছিল রামরহিমকে। রাম রহিমের প্যারোলে মুক্তি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবারই হরিয়ানার রোহতকের সুনারিয়া জেল থেকে বাইরে বেরিয়েছেন রামরহিম। ভোর সাড়ে ৫ টায় মুক্তি পাওয়ার পর সাড়ে ৭টা নাগাদ তিনি সিরসায় নিজের আশ্রমে পৌঁছে যান। গুরমিতের সঙ্গে সারাক্ষণ ছিল তার মানসকন্যা হানিপ্রিত। ২০২০ সালে থেকে এনিয়ে মোট ১২ বার অস্থায়ীভাবে মুক্তি পেলেন তিনি। প্রথম ১০ দিন সিরসায় ডেরা সাচা সৌদার প্রধান আশ্রমে কাটাবেন। তারপর বাকি দিনগুলি থাকবে বাগপতের শাখায়। এর আগে গতবছর অক্টোবরে হরিয়ানা ভোটের ঠিক তিনদিন আগে সে ২০ দিনের প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন রামরহিম। এবং সেই ভোটে বিজেপি বিপুল করে জিতে গিয়েছিল।
আশ্রমের দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৭ সালে রাম রহিমকে কুড়ি বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল হরিয়ানার পঞ্চকুলা আদালত। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনার জন্য খুন হতে হয় এক সাংবাদিককে। সেই ঘটনায় আরও তিনজনের সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন রাম রহিম। তবে ২০২০ সালে জেলে যাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৬ বারের বেশি তাঁকে প্যারলে মুক্তি দিয়েছে হরিয়ানার বিজেপি সরকার।
শুধু হরিয়ানা নির্বাচন নয়,লোকসভা নির্বাচনের আগে ৫০ দিনের প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন। এবার দিল্লি নির্বাচনের আগে তাঁর মুক্তির পিছনে রাজনৈতিক যোগ দেখছে বিরোধী শিবির। কারণ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে বিপুল সংখ্যক অনুগামী রয়েছে রাম রহিমের। ভোটের আগে তাঁর মুক্তি নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।