প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে যাওয়া পুণ্যার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারেন, তার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতা ভারতীয় রেলের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, প্রয়াগরাজ এলাকার ৮টি পৃথক স্টেশন থেকে ৩৩০টি ট্রেন ১২ লক্ষ ৫০ হাজার যাত্রী বহন করছে। প্রতি চার মিনিট অন্তর একের পর এক ট্রেন চলছে। মাঘী পূর্ণিমার পরে এবং অমৃত স্নানের আগে প্রতি রেক ৩৭৮০ জন করে যাত্রী বহন করেছে মাত্র একটি ট্রিপে। তা সত্ত্বেও পুণ্যার্থীদের ভিড় কমছে না। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য জোনাল ও ডিভিশনাল রেলের আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন। সেখানে রেলের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আঞ্চলিক ও বিভাগীয় রেল আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিইও সতীশ কুমার আধিকারিকদের দক্ষতার সঙ্গে ও পূর্ণ ক্ষমতায় জনগণের সেবা করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টাকে গণমাধ্যমের নজরে আনার নির্দেশ দেন। প্রয়াগরাজ জংশনের পাশাপাশি প্রয়াগরাজ ছেওকি, নয়নি, সুবেদারগঞ্জ, প্রয়াগ, ফাফামাউ, প্রয়াগরাজ রামবাগ এবং ঝুসি-এই ৭টি স্টেশন সম্পূর্ণরূপে চালু রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ক্রমাগত ভিড় থাকা সত্ত্বেও, প্রয়াগরাজ এলাকা থেকে এই ৮টি স্টেশন থেকে বিশেষ এবং নিয়মিত ট্রেনগুলি পূর্ণ ক্ষমতায় চলছে।
সতীশ কুমার জোর দিয়ে বলেন, যে কোনও অমৃত স্নানের দু’দিন আগে এবং দু’দিন পরে প্রয়াগরাজ সঙ্গম নামে একটি মাত্র স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটি প্রয়াগরাজ জেলা প্রশাসনের পরামর্শে করা হয়। এতে নতুনত্বের কিছু নেই। তিনি ভারতীয় রেলের গণমাধ্যম, জনসম্পর্কের জোনাল এবং বিভাগীয় অফিসগুলিকে ভক্তদের মহাকুম্ভ শহরে পৌঁছতে সহায়তা করার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরার আহ্বান জানান, বিশেষত পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে যানজটের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে।