মীনাক্ষী ভট্টাচার্য, দিল্লি
লোকসভার বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর সংসদ চেম্বারে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকটি হয় দেশের মূখ্য তথ্য কমিশনার (সিআইসি) এবং ৮ জন তথ্য কমিশনারের পাশাপাশি পরবর্তী মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার (সিভিসি) নিয়োগের বিষয়ে। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠকে সরকার যে নামগুলি প্রস্তাব করেছে, রাহুল গান্ধী সেগুলির প্রতি তাঁর আপত্তি জানান। তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে মতের অমিলের কথা জানিয়েছেন।
Advertisement
সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন যে, সরকারের প্রস্তাবিত নামগুলি নিয়ে তাঁর গুরুতর আপত্তি আছে এবং তিনি মনে করেন, এই নিয়োগের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে। তিনি কমিটির বৈঠকে একাধিক প্রশ্নও তোলেন। নিজের এক্স পোস্টে রাহুল তিনটি বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছেন— প্রথমত, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যুক্ত নির্বাচন কমিটি থেকে প্রধান বিচারপতিকে কেন সরানো হল? দ্বিতীয়ত, ২০২৪ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনকে এত বেশি আইনগত সুরক্ষা কেন দেওয়া হল? তৃতীয়ত, সিসিটিভি ফুটেজ ৪৫ দিনের মধ্যে নষ্ট করার তাড়াহুড়ো কেন?
Advertisement
রাহুলের অভিযোগ, এর একটাই কারণ— নির্বাচন কমিশনকে ভোট চুরির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আরও দাবি করেন, বিজেপি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করছে। এর আগেও লোকসভায় নির্বাচন সংস্কার নিয়ে আলোচনার সময় রাহুল গান্ধী বলেন যে, ২০২৩ সালের নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনটি অত্যন্ত সমস্যাযুক্ত। তাঁর মতে, এই আইনে কমিশনারদের এমন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যে, তাঁরা চাইলে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারেন। আবার এই আইনে তিন সদস্যের যে নির্বাচনী কমিটি গঠিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী নেতা এবং মন্ত্রিপরিষদের একজন সদস্য নিয়ে, সেখানে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। রাহুল দাবি করেন, ভবিষ্যতে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে এই আইন সংশোধন করা হবে এবং নির্বাচন কমিশন যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন, সেই ব্যবস্থাই করা হবে।
Advertisement



