পুণে ধর্ষণ কাণ্ডে অবশেষে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শুক্রবার সকালে মহারাষ্ট্রের শিরুর থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল একটি সরকারি তরুণীকে ধর্ষণ করেছিল অভিযুক্ত। তারপর থেকে বেশ কয়েক দিন গা ঢাকা দিয়েছিল সে। অভিযুক্তের খোঁজ দিলে ১ লক্ষ পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করে পুলিশ। গোটা মহারাষ্ট্রজুড়ে তল্লাশি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একটি বাড়িতে খাবার খেতে গিয়েছিল অভিযুক্ত। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকাটি চার দিক থেকে ঘিরে ফেলে। সকালে বাড়ি থেকে বেরনো মাত্রই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোরে পুণের স্বরগেট বাসস্ট্যান্ডে একটি ফাঁকা বাসে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ভুল বুঝিয়ে ওই মহিলাকে বাসে তোলে অভিযুক্ত। এরপর দরজা আটকে মহিলাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এর আগেও অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। পুণে শহর এবং পার্শ্ববর্তী অহল্যানগরে ছ’টি চুরি ঘটনা, ডাকাতি এবং গলার হার ছিনতাইয়েও অভিযুক্ত সে। একাধিক বার জেল খেটেছে ওই যুবক। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছিল সে। শুধু অপরাধমূলক কাজকর্মই নয়, যথেষ্ট রাজনৈতিক প্রভাবও ছিল অভিযুক্তের। গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছে তাকে।
এদিকে ঘটনার পর পুণে থেকে পালানোর জন্য একটি সবজিবোঝাই ট্রাকে উঠেছিল অভিযুক্ত। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মুখে মাস্ক পরে বাস থেকে নামছে সে। পরিচয় গোপনের উদ্দেশ্যেই এই পন্থা অবলম্বন করেছিল অভিযুক্ত যুবক, এমনটাই মত তদন্তকারীদের। নিজের গ্রামে ফিরে প্রমাণ লোপাট করার জন্য জামা, জুতো বদলে ফেলে সে। পুলিশের ১৩টি দল তৈরি করে অভিযুক্তের খোঁজ চালানো হয়েছিল। আনা হয় স্নিফার ডগও। তার বাড়ির কাছে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারিও চালানো হয়।