দেশের বহু আমলাদের ম্যাক্সিমাম গভর্ন্যান্স, মিনিমাম গভর্নমেন্ট মন্ত্র অনুসরণের পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। শনিবার সিভিল সার্ভিস প্রবেশনারদের উদ্দেশে বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘জনতা জনার্দন শুধু সরকারি কর্মসূচির প্রাপক নয়, গণতন্ত্রে তারাই আসল চালিকাশক্তি। তাই আমাদের সরকার থেকে সুশাসনের দিকে যেতে হবে।
প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে ছ’বছর আগে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার আগে মােদি বলেছিলেন, নাগরিক জীবনে সরকারি হস্তক্ষেপ কমবে, প্রশাসনের লাল ফিতের নিয়ন্ত্রণ-মুক্তি ঘটবে। পরিবর্তে বৃদ্ধি পাবে সামাজিক পরিষেবার পরিসর।
Advertisement
সর্দার বল্লভভাই পটেলের জন্মদিবস উপলক্ষে ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ অনুষ্ঠানে এদিন একই কথা শােনা গিয়েছে মােদির মুখে। এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল শ্রোতা ছিলেন, উত্তরাখণ্ডের মুসৌরীর ‘লালবাহাদুর শস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর প্রবেশনার আমলারা। ‘আরম্ভ ২০২০’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তাদের উদ্দেশে মােদির বার্তা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক চেতনাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
Advertisement
আমলাদের ভূমিকা হবে ন্যূনতম সরকার এবং সর্বাধিক সুশাসনের।
প্রসঙ্গত, ‘আরম্ভ ২০২০’র মাধ্যমেই সিভিল ও ফরেন সার্ভিস সহ বিভিন্ন স্তরের আমলাদের এক যৌথ প্রশিক্ষণ পর্বের সূচনা হয় এদিন। প্রধানমন্ত্রীর মতে, প্রশাসনের শীর্ষস্তর থেকে সরকারি কর্মসূচি পরিচালিত হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে জনগণের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই তৃণমূল স্তরে আলােচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণকে গুরুত্ব দিতে হবে। আর সরকারি ব্যবস্থাপনার এই প্রক্রিয়ায় আমলাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে কংক্রিটের কাঠামােয় ইস্পাতের ফ্রেমের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ইস্পাতের ফ্রেমের কাজ শুধু ভিত্তি স্থাপন নয়, পুরাে কাঠামােটিকে ধরে রাখা।
স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রসঙ্গে মােদি এদিন বলেন, সর্দার সাহেব সরকারি আধিকারিকদের বলতেন, মানুষের সেবা করাই আপনাদের ধর্ম। আপনাদের কাছে আমার অনুরােধ, যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা জাতীয় চেতনার প্রেক্ষাপটে হওয়া উচিত। আমি মনে করি, ‘আরম্ভ ২০২০’ নতুন যুগের সূচনার প্রতীক হয়ে থাকবে।
Advertisement



