পাক আকাশপথ দিয়ে আমেরিকা গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি

পুরোপুরি বন্ধ আফগান আকাশসীমা। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই পাকিস্তানের উপর দিয়ে বিমান ওড়াতে হল ভারতকে। আজ আমেরিকা উড়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।

Written by SNS Delhi | September 23, 2021 1:01 am

পুরোপুরি বন্ধ আফগান আকাশসীমা। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই পাকিস্তানের উপর দিয়ে বিমান ওড়াতে হল ভারতকে। আজ আমেরিকা উড়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। মােদির বিশেষ সেই বিমান উড়েছে পাক আকাশপথ দিয়েই।

বুধবারই তিনদিনের মার্কিন সফরে উড়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। শুক্রবার কোয়াড গােষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠক। ওই বৈঠকে যােগ দেওয়া ছাড়াও বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে মােদির। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করার কথা প্রধানমন্ত্রীর।

বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও বৃহস্পতিবার মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি কমলা হারিসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি। এছাড়াও ওইদিনই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইওসিহিদে সুহার সঙ্গেও মােদির সাক্ষাৎ হওয়ার কথা।

এবারের সফরে অ্যাপল সংস্থার প্রধান টিম কুকের সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে মােদির। এবারের কোয়াড সম্মেলনে আলােচনার প্রধান বিষয় হতে পারে আফগানিস্তান পরিস্থিতি। কিন্তু এই বহু প্রতীক্ষিত সফরের আগে একপ্রকার অপ্রস্তুতে পড়তে হল ভারত সরকারকে।

আফগানিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় পাকিস্তানের কাছে তাঁদের আকাশসীমা ব্যবহার করার অনুমতি চাইতে হল ভারতকে। কেন্দ্র সরকারি সূত্রের খবর, ইসলামাবাদের ফে প্রধানমন্ত্রীর বিমান ওড়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তারপরই পাকিস্তানের উপর দিয়ে মােদির বিমান উড়ে গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের পর নিজেদের আকাশসীমার সব রুট বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। সেটা ছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি। তারপর থেকে এখনও বন্ধ পাকিস্তানের অধিকাংশ এয়ার রুট। এর আগে ২০১৯ সালেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বিমান ওড়ার অনুমতি চেয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু সেবার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এবছর অবশ্য ভারত সরকারের আবেদনের পরই অনুমতি দিয়ে দিয়েছে ইমরান খানের সরকার। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় যােগ দিতে আমেরিকার উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। বুধবার বিমানবন্দর থেকে রওনা দেওয়ার আগে একাধিক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর আমেরিকা সফরের কেন্দ্রে থাকছে আফগানিস্তান ও চিন।

এদিন সকালে আমেরিকার উদ্দেশে বিমান ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডােভাল, বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলাসহ বেশ কয়েকজন। সেখানে রাষ্ট্রসংঘে ভাষণের পাশাপাশি টানা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। আমেরিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারনে প্রধানমন্ত্রী।

শুক্রবার কোয়াড গােষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে যােগ দেওয়া ছাড়াও শে কিছু কর্মসূচি রয়েছে মােদির। বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও বৃহস্পতিবার মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

এছাড়াও ওইদিনই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইওসিহিদে সুহার সঙ্গেও মােদির সাক্ষাৎ হওয়ার কথা আমেরিকার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার এই সফর উপলক্ষে আমেরিকার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। তাছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিষয়ে জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করাও আমাদের উদ্দেশ্য।

তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কোয়াড সামিটে অংশ নেব আমি। জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক হবে। সেখানে ইন্দো-প্যাসিফিকে ভবিষ্যতে আমাদের সহযােগিতা নিয়ে কথা হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তান প্রসঙ্গটি মােদীর তিন দিনের সফরে বিভিন্ন মঞ্চে অবশ্যই তােলা হবে। পাকিস্তানের নাম না করে আজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, তালিবান সরকারে হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রাধান্য ভারতের কাছে উদ্বেগের। তা আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে বলবেন প্রধানমন্ত্রী।