প্রশাসনিক ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী মোদি: সুব্রহ্মণ্যম

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার একদিন পর টুইট করে মোদি সরকারকে একহাত নিলেন বিজেপি’র রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।

Written by SNS Delhi | November 26, 2021 4:05 pm

সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Photo: IANS)

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার একদিন পর টুইট করে মোদি সরকারকে একহাত নিলেন বিজেপি’র রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। আজ টুইট করে তিনি লেখেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রশাসনের সর্বক্ষেত্রেই ব্যর্থ। তা সে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই হোক বা সীমান্ত সুরক্ষা, প্রতিটি ক্ষেত্রেই চরম ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী মোদি।

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশনীতি হোক বা পেগাসাস ইস্যু হোক, কাশ্মীরের পরিস্থিতি হোক–সবকিছুতেই ব্যর্থ। আর এই সবকিছুর জন্য দায়ি?’ গতকাল প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

মমতা সুব্রহ্মণ্যম সাক্ষাত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। তিনি গতকাল একটি টুইট করে লিখেছিলেন, ‘আমার রাজনৈতিক কেরিয়ারে যে সমস্ত বলিষ্ঠ রাজনীতিকদের সঙ্গে কাজ করেছি অর্থাৎ মোরারজি দেশাই, রাজীব গান্ধি, চন্দ্রশেখর, পি ভি নরসিংহ রাও সহ একাধিক নেতার সারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাখতে চাই।

তিনি যা মনে করেন, সেটাই বলেন। ভারতীয় রাজনীতিতে নেতাদের মধ্যে এই গুণ চোখে পড়ে না’। লক্ষ্যণীয় ঘটনা হল, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ভারতীয় রাজনীতির বলিষ্ঠ নেতাদের সারিতে নিজের দলের কোনও নেতা এমনকি প্রধানমন্ত্রী মোদির নামের উল্লেখ না করে তৃণমূল নেত্রীর নাম উল্লেখ করেছেন। এখানেই বড়সড় একটা জিজ্ঞাসা থেকে গেলেও যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তার সত্যতা ভবিষ্যতই বলবে।

উল্লেখ্য, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বিজেপি সাংসদ হলেও তিনি এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি থেকে শুরু করে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা সহ একাধিক বিষয়ে মোদি সরকারের অবস্থানের কড়া সমালোচনায় তিনি প্রায়ই মুখর হয়েছেন।

গত ২৩ নভেম্বর তিনি টুইট করে লিখেছিলেন, ‘প্রতিবেশি চিন যদি আমাদের পরমাণু অস্ত্রসম্ভারে ভয় না পায়, তাহলে আমরা কেন ওদের পরমাণু অস্ত্রকে ভয় পাব’। সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামি এপিল মাসে।

বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী যেভাবে প্রায় সমস্ত ইস্যুতে মোদি প্রশাসনের সমালোচনায় মুখর হন, তাতে আগামি দিনে বিজেপি কি তাকে ফের রাজ্যসভায় পাঠাবে– এখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।