লকডাউন ওঠার পরে দিল্লি বিমানবন্দরে চালু হবে অনেক নিয়ম, করোনা রুখতে সিদ্ধান্ত

৩ মে’র পরে লকডাউন উঠলেও বিমান পরিষেবা চালু হবে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে বিমান পরিষেবা চালু হলেও একাধিক নিয়ম চালু হতে চলেছে দিল্লি বিমানবন্দরে।

Written by SNS New Delhi | April 26, 2020 5:41 pm

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ মে’র পরে লকডাউন উঠলেও বিমান পরিষেবা চালু হবে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে বিমান পরিষেবা চালু হলেও একাধিক নিয়ম চালু হতে চলেছে দিল্লি বিমানবন্দরে। এমনটাই জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

দিল্লি ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক সিনিয়র আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, বিমান পরিষেবা শুরু হলেও কড়াকড়ি বাড়বে বিমানবন্দরে। সবার জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে বিমানবন্দরের মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বিমানবন্দরে ঢুকে কোনও রকমের লাইন দেওয়া যাবে না। সব কিছুই হবে নিয়ম অনুযায়ী।

কী রকম সেই নিয়ম? ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, বোর্ডিং পাস নেওয়ার জন্য ও চেকিংয়ের জন্য আগে লাইন পড়ত। কিন্তু এবার থেকে সবাইকে সিটে বসে থাকতে হবে। একে একে ডাকা হবে তাদের। তারপর চেকিং ও অন্যান্য নিয়ম পালন হবে। সেইজন্য যাত্রীদের বেশ কিছুটা সময় হাতে নিয়ে আসতে বলা হবে। কারণ এই পদ্ধতিতে কিছুটা সময় লাগবে।

বিমানবন্দরে সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ-এর সঙ্গে কথা বলে এই নিয়ম করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিআইএসএফ-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এবার থেকে বিমানবন্দরে ঢোকার আগে প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। কারও দেহে জ্বর থাকলে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বিমানবন্দরে বসার সিটের মধ্যে দূরত্ব বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এছাড়া বিমানবন্দর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাঝেমধ্যে তা জীবাণুমুক্ত করারও কাজ চলবে। আর এসব তদারকি করার দায়িত্বে বিমানবন্দরের সুরক্ষাকর্মীদের একটা দল থাকবে বলেই জানিয়েছেন সিআইএসএফ-এর ওই আধিকারিক।

শুধু বিমানবন্দর নয়, একাধিক নিয়ম হবে বিমানের ভিতরেও। আপাতত বিমানে জল ছাড়া অন্য কোনও খাবার দেওয়া হবে না। বিমানকর্মীদের সঙ্গে যাত্রীদের সংস্পর্শ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বিমানকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বাথরুম ব্যবহার না করেন এবং বিমানের মধ্যে অকারণে ঘোরাঘুরি না করেন সেদিকে খেয়াল রাখতে।

যে বাসে করে বিমানে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানেও একবারে ৫০ শতাংশ যাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। অবশ্য বিমানের মধ্যে দু’টি সিটের মধ্যে দূরত্ব বাড়ানো হবে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কারণ দূরত্ব বাড়ানো মানে সিটের সংখ্যা কমে যাওয়া। সেক্ষেত্রে বিমান সংস্থাগুলির আর্থিক লোকসান হবে। তাই এই ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কথা বলার পরেই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।