দুই সপ্তাহের নিখুঁত প্রস্তুতি। তারপর পহেলগামের জঙ্গি হামলায় ভারতের প্রত্যাঘাতের পালা। মঙ্গলবার গভীর রাতে জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ করা হয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাক পাঞ্জাবে বেছে বেছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা বাহিনী। এদিন রাত জেগে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পুরো প্রক্রিয়াটি নজরে রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ধারাবাহিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত খবরাখবর দিয়ে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডোভাল ছাড়াও ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান এবং গোয়েন্দা দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনাবাহিনী, নৌসেনা ও বায়ুসেনার শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বেশ কয়েক দফায় কথোপকথন হয়েছে।
প্রসঙ্গত পহেলগাম হামলার পরেই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরিকল্পনা করে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। নয়াদিল্লির তরফে আগেই বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল যে, ভয়াবহ এই জঙ্গিহানার জবাব পাকিস্তানকে ভারত নিজের পছন্দের সময়ে ও পছন্দের স্থানে দেবে। সেই মতো মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে আঘাত হানে ভারতীয় সেনা বাহিনী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে, যে সব জায়গায় বসে জঙ্গিরা ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনা করেছিল ও নির্দেশ দিয়েছিল, সেখানেই আঘাত হেনেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী।