‘এক দেশ এক ভােট’ নিয়ে সরব প্রধানমন্ত্রী

‘এক দেশ এক ভােট’এর পক্ষে সওয়াল শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। তাঁর মতে, দেশের স্বার্থেই বিধানসভা ও লােকসভা নির্বাচন এক সঙ্গে হওয়া উচিত।

Written by SNS New Delhi | November 30, 2020 4:06 pm

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Photo: Twitter / @narendramodi)

‘এক দেশ এক ভােট’এর পক্ষে সওয়াল শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। তাঁর মতে, দেশের স্বার্থেই বিধানসভা ও লােকসভা নির্বাচন এক সঙ্গে হওয়া উচিত। যদিও দাবি উড়িয়ে বিরােধী নেতৃত্ব এবং সংবিধান-বিশেষজ্ঞদের পাল্টা বক্তব্য, কেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যেই এমন ভাবনাকে তুলে ধরতে চাইছেন মােদি তথা সঙ্ঘ পরিবারের নেতারা। এমনটা হলে, ভারতের বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক কাঠামােই ধ্বংস হবে।

অতীতে ‘এক দেশ এক ভােট’এর পক্ষে সওয়াল করতে দেখা যেত লালকৃষ্ণ আডবাণীকে। ২০১৪ সালে মােদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে আডবাণী দলে কার্যত ব্রাত্য হয়ে গেলেও তাঁর সেই পরিকল্পনা নিয়ে ‘এক দেশ এক ভােট’এর পক্ষে সওয়াল শুরু করেছেন মােদি। গােড়া থেকেই মােদির ওই প্রস্তাবের বিরােধিতায় সরব বিরােধীরা। 

মাঝে বিষয়টি একেবারে ধামাচাপা পড়ে গেলেও সংবিধান দিবসে ৮০ তম জাতীয় প্রিসাইডিং অফিসারদের সম্মেলনে ভিডিয়াে কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের ‘এক দেশ এক ভােট’ বিতর্ক উস্কে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিষয়টি আর আলােচনার পর্যায়ে নেই। ভারতের জন্য এই ব্যবস্থা প্রয়ােজন। 

প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, কয়েক মাস অন্তর ভারতের কোথাও না কোথাও নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনের ফলে উন্নয়নমূলক কাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই বিষয়টি নিয়ে গভীর ভাবে অধ্যয়ন ও আলােচনার প্রয়ােজন রয়েছে। একই সঙ্গে আর্থিক, লােকশক্তির অপচয় রুখতে তিনি লােকসভা, বিধানসভা বা অন্য কোনও নির্বাচনের কাজে একটি মাত্র ভােটার তালিকা ব্যবহার করার সুপারিশও করেছেন। 

মােদি ক্ষমতায় আসার পরে ২০১৭ সালে নীতি আয়ােগ তাদের একটি রিপাের্টে ২০২৪ সাল থেকেই লােকসভা বিধানসভা এক সঙ্গে করার পক্ষে সওয়াল করেছে। রিপাের্টে বলা হয়েছে, উন্নয়ন ও প্রশাসনের স্বার্থে ওই দুই ভােট এক সঙ্গে হওয়া উচিত। 

অতীতে লােকসভা ও বিধানসভার ভােট যে এক সঙ্গে হয়নি, তা নয়। ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে দু’টি নির্বাচন এক সঙ্গে হয়েছিল। কিন্তু ১৯৫৯ সালে কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার কেরলের বাম সরকারের ব্ৰুিদ্ধে ৩৫৬ ধারা জারি করে। ফলে ১৯৬০ সালে ফের কেরলে বিধানসভা নির্বাচন হয়। তখন থেকেই লােকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন এক সঙ্গে করার চক্রটি ভেঙে যায়। বিরােধী দলগুলির প্রশ্ন, আগামী দিনেও যে তা হবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়?