দেশের প্রধান সমস্যা এড়িয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী : রাহুল গান্ধি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা বেকারি নিয়ে কোনও কথা বলছেন না বলে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি অভিযােগ করেছেন।

Written by SNS New Delhi | February 7, 2020 3:58 pm

রাহুল গান্ধি (File Photo: IANS)

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা বেকারি নিয়ে কোনও কথা বলছেন না বলে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি অভিযােগ করেছেন। সংসদের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় রাহুল গান্ধি বলেন, দেশের এখন প্রধান সমস্যা হল বেকারি ও কর্মহীনতা। আমরা বহুবার এবিষয়ে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করা সত্ত্বেও তিনি এর কোনও উত্তর দেননি। অর্থমন্ত্রী দীর্ঘ বাজেট বক্তৃতায় বেকারি ও কর্মহীনতা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি। প্রধানমন্ত্রী মােদির কৌশলই হল দেশের প্রধান ইস্যু থেকে সাধারণের নজর ঘুরিয়ে দেওয়া। তিনি কংগ্রেস, জওহরলাল নেহরু, পাকিস্তান ইত্যাদি বিষয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা দিতে অভ্যস্ত কিন্তু প্রধান সমস্যা নিয়ে নয়।

প্রধানমন্ত্রীর জবাবী ভাষণে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। রাজ্য সভায় বলেন, যখনই দেশে কোনও নির্বাচন আসে তখনই পাকিস্তানের প্রসঙ্গ নিয়ে আসা হয়। প্রত্যেক দিনই একই ভাষণ শুনতে পাওয়া যায়। পাকিস্তানের কোনও অস্তিত্ব না থাকলে এরা কি করতেন সেটাই ভাবার বিষয়। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য সিএএ বিরােধী প্রস্তাব পাশ করেছে। দেশের সরকারের সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির মনােভাবের প্রতি মর্যাদা দেওয়া উচিত। কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনও সরকার বিরুদ্ধ মতের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে থাকতে পারে না। মনে রাখা উচিত দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ভােট দিয়েছে। যারা সরকারের নীতির সমালােচনা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবিরােধী তকমা সেঁটে দেওয়া হচ্ছে। 

কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেন, শাহিন বাগের মানুষের সঙ্গে সরকারের আলােচনা করা উচিত। কারণ শাহিন বাগে যারা সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে ধর্না বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন তাদের সঙ্গে আলােচনার মাধ্যমেই উত্তেজনা ও সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ জ্ঞাপন পর্বে তিনি জানান, সরকারের উচিত সিএএ প্রত্যাহার করা এবং এনআরসি ও এনপিআর প্রয়ােগ করা হবে না বলে ঘােষণা করা উচিত। মানুষের মধ্যে এক অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে সরকারি নীতির ফলেই। এজন্য সরকারকেই এর নিরসনে এগিয়ে আসতে হবে। তাই সিএএ প্রত্যাহারের মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রবীণ বিজেপি নেতা মুরলি মনােহর যােশির কথা শুনে অবিলম্বে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অপসারণ করা জরুরি। দেশের এমন সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য এবং মানুষের আস্থা ফিরে পেতে বেশকিছু সংশােধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সরকারকে বলে মন্তব্য করেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

সংসদে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বিজেপি সরকারের সমালােচনা করে বলেন, সরকারের বিভেদমূলক এনআরসি ও সিএএ’র বিরদ্ধে মানুষ ক্ষুব্ধ। মানুষ সংবিধানের রক্ষায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে বিজেপি সরকারের বিভেদমূলক নীতির বিরুদ্ধে। দেশের সকল স্তরের এবং সকল বয়সের মানুষ বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। এটাই গণতন্ত্রের জয়। বিজেপি সরকারকে তাদের বর্তমান অবস্থান থেকে পিছু হঠতেই হবে। সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় গড়ে ওঠা হিন্দুস্থানকে বিজেপি সরকার বিভক্ত করতে পারবে না। সংবিধানের মূল মন্ত্র হল এদেশ আমাদের। বিজেপি এতেই আঘাত হানতে চাইছে। এরই বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাড়িয়েছে।