পরবর্তী অবস্থা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীদের পরিকল্পনা জানাতে অনুরোধ মোদির

মোদি রাজ্যগুলিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করোনা সংক্রমণের স্থান চিহ্নিত করে তা ঘিরে ফেলার অনুরোধ জানিয়েছেন। যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে না পারে

Written by SNS New Delhi | April 3, 2020 5:24 pm

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (File Photo: IANS)

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কেন্দ্রের ঘোষিত লকডাউন পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে আটকে থাকা মানুষের গমনাগমনের বিষয়ে পরিকল্পনা নির্ধারন জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে করোনা সংক্রমণ দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় এক ত্রাসের সঞ্চার করেছে বলে মন্তব্য করেন।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার সময় তিনি রাজ্যগুলিকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মানুষজনের দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ফেরার বিষয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা জানানোর অনুরোধ করেছেন।

তিনি জানান, লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে অবস্থা স্বাভাবিক হতে বেশ কিছুটা সময় নেবে। এজন্য বেশকিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আবারও রাজ্যগুলিকে লকডাউন ব্যবস্থা আরও কঠোরভাবে বলবৎ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। কারণ করোনা মোকাবিলায় সোশ্যাল ডিসটান্সিং অত্যন্ত জরুরি এক ব্যবস্থা।

তিনি রাজ্যগুলিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করোনা সংক্রমণের স্থান চিহ্নিত করে তা ঘিরে ফেলার অনুরোধ জানিয়েছেন। যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে না পারে। পরবর্তীতে পরীক্ষা, চিহ্নিতকরণ, পৃথকীকরণ এবং কোয়রেন্টাইনের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার ন্যূনতম জীবনহানি নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই সংক্রমণ আরও একবার আঘাত হানতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রীদের এই ভিডিও কনফারেন্সে নয়জন মুখ্যমন্ত্রী অংশ নেন। কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী করোনা মোকবিলায় যে আর্থিক সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তা পাননি বলে অনুযোগ করেন।

উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মারণ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ২৪ মার্চ দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন। কারণ ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বে দশ লাখের বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ফলে দেশের বিভিন্ন অংশের মানুষ বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণেও সমস্যা দেখা দেয়।

দিন আনা দিন খাওয়া বহু মানুষের কাজ চলে যায়। তারা বাড়ি ফিরে আসার জন্য দুর দুরান্ত থেকে হাঁটা শুরু করেন। এর ফলে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং ব্যবস্থা বানচাল হওয়ার উপক্রম হয় এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রী পরবর্তীতে জাতির উদ্দেশ্যে তাঁর ভাষণে এমন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এপর্যন্ত ভারতে দু’হাজার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৫০ বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের সময়ে প্রধানমন্ত্রী নিজামুদ্দিনের জমায়েতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে চিকিৎসার পরামর্শ দেন।