তিরুঅনন্তপুরমের জায়গায় জায়গায় রাতভর তল্লাশি

গত ১১ জুলাই রাতে কেরলের সোনাপাচার কাণ্ডের মূল দুই অভিযুক্ত সরকারি আমলা স্বপ্না সুরেশ ও সন্দীপ নাইয়ারকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ।

Written by SNS Thiruvananthapuram | July 17, 2020 8:20 pm

কেরলের সোনাপাচার কাণ্ডের অভিযুক্ত সরকারি আমলা স্বপ্না সুরেশ। (Photo: Twitter/@SriSubodhKmr)

শুরু হয়েছিল বুধবার দুপুর থেকে। চললো ভোর রাত পর্যন্ত। কেরলের সোনা চোরাচালান কাণ্ডে সরকারি দফতর থেকে অভিযুক্তদের ফ্ল্যাট, বেসরকারি সংস্থার অফিসসহ তিরুঅনন্তপুরমের ২৯টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছেন শুল্ক দফতরের আধিকারিক ও এনআইএ অফিসাররা।

দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার চারটি দল কেরলের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায়। কেরলের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অফিস থেকে একাধিক ফাইল বাজেয়াপ্ত করেছেন কাস্টমস অফিসাররা। অভিযুক্ত আমলা স্বপ্না সুরেশ ও সন্দীপ নাইয়ারের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তদন্ত এজেন্সি সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, রাতভর তল্লাশিতে গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে।

গত ১১ জুলাই রাতে কেরলের সোনাপাচার কাণ্ডের মূল দুই অভিযুক্ত সরকারি আমলা স্বপ্না সুরেশ ও সন্দীপ নাইয়ারকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ। পরের দিন তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক আট দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ৪ জুলাই কেরলের তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছিল ৩০ কেজি সোনা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কুটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে ওই সোনা আনা হয়েছিল। কেরলের বাম সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। কংগ্রেস-বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেন, কেরলের তথ্য প্রযুক্তি দফতরের প্রধান সচিব এম শিবশঙ্কর সোনা পাচারে যুক্ত ছিলেন। সরকার তাকে আড়াল করতে চাইছে।

শিবশঙ্কর তথ্য প্রযুক্তি দফতরের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দফতরের সচিব হিসাবেও কাজ করেছেন। এই অভিযোগ ওঠার পরই তাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয় কেরল সরকার। যদিও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সচিবের স্মাগলিংয়ে যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এর আগে সরিথ কুমার নামে এক আধিকারিককে গ্রেফতার করেছিল কাস্টমস। ধৃত সরিথ কুমার আগে তিরুঅনন্তপুরমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কনস্যুলেটের জনসংযোগ আধিকারিক ছিলেন। স্বপ্না সুরেশও এক সময় তিরুঅনন্তপুরমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কনস্যুলেটের কর্মী ছিলেন। কেরল সরকারের তথ্য প্রযুক্তি দফতরের সঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানির যোগাযোগ রক্ষা করতেন তিনি।