• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

কারচুপির অভিযোগ করলেও প্রমাণ নেই পিকের হাতে

অভিযোগ তুললেন, বিহারে 'কিছু একটা গোলমাল হয়েছে', যদিও স্বীকার করলেন, হাতে কোনও প্রমাণ নেই

বিহারের নির্বাচনে খারাপ ফল করেছে তাঁদের নতুন দল কার্যত ভরাডুবি। ২৪৩-এর মধ্যে ২৩৮ আসনে লড়ে একটিতেও জয় নেই। ভোট-পরবর্তী নীরবতা ভাঙলেন জন সুরাজ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। অভিযোগ তুললেন, বিহারে ‘কিছু একটা গোলমাল হয়েছে’, যদিও স্বীকার করলেন, হাতে কোনও প্রমাণ নেই।

ভোটকুশলী হিসাবে প্রায় সব রাজ্যে সাফল্য এসেছে প্রশান্তর। বিহারে তৃণমূল স্তরে নেমে কাজ করার লক্ষ্যে পদযাত্রা। প্রায় ৩ বছর বিহারের গ্রামে গ্রামে ঘুরেছেন। একেবারে কর্পোরেট ধাঁচে ভোটের অঙ্ক কষে নানা দলের হয়ে কাজ করেছেন তিনি। এনডিএ বনাম মহাজোটের গতানুগতিক লড়াইয়ে বিহারের রাজনীতিতে তৃতীয় বিকল্প হিসাবে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করেন পিকে।

Advertisement

ভোটে ভরাডুবির পর সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিকে দাবি করেছেন, জন সুরাজ যাত্রার সময় জনগণের প্রতিক্রিয়া, প্রচারের শক্তি, ময়দানে থাকা, কিছুই ভোট-ফলাফলের সঙ্গে মেলেনি। তাঁর কথায়, ‘অপরাজেয় কিছু শক্তি কাজ করেছে। যেসব দলকে লোক চিনত না, তারা লক্ষ লক্ষ ভোট পেল!’ তিনি আরও বলেন, ‘হারলে লোকেরা এসব বলে। প্রমাণ নেই। কিন্তু অনেক হিসেব মিলছে না। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, কিছু একটা বেইমানি হয়েইছে।’

Advertisement

পাশাপাশি প্রশান্ত দাবি করেছেন, ভোটের আগে হাজার হাজার মহিলাকে ‘টাকা বিলি’ করেছে এনডিএ শিবির। তাঁর কথায়, ‘ভোট ঘোষণার দিন থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত মেয়েদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এনডিএ-কে ভোট দিলে দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাবেন— এ ছিল প্রথম কিস্তি।’ পিকের মতে, ‘দেশে কোনও সরকারকে আমি এমনভাবে ৫০ হাজার মহিলার হাতে নগদ বিলি করতে দেখিনি।’ এবার খারাপ ফল হলেও আগামীদিনে ভোটকুশলী পিকে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কীভাবে ভোটের ময়দানে টিকে থাকেন সেটাই এখন দেখার।

Advertisement