বিহারের বৈশালিতে পৌঁছে ফের মানুষের মতামত শোনার ডাক দিলেন জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর। শনিবার স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বলেন, ‘আমি আগেও এখানে এসেছি। আজও এসেছি শুধু মানুষের কথা শুনতে। আপনারা নিজেরাই বলুন, কে হবেন আপনাদের প্রতিনিধি।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রাশান্ত কিশোরের এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে জনমতের ভিত্তিতেই প্রার্থী নির্ধারণের পথে হাঁটতে চাইছে তাঁর দল।
Advertisement
জনসভায় তিনি বলেন, ‘জন সুরাজ মানে জনতার সুরাজ— যেখানে ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকবে সাধারণ মানুষ। বিহারে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে হলে, রাজনীতিকে জনগণের হাতেই ফিরিয়ে দিতে হবে।’
Advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাশান্ত কিশোর এ দিন এলাকার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের সমস্যা শোনেন এবং উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান নিয়ে তাঁদের মতামত নেন। তাঁর বক্তব্যে ছিল এক স্পষ্ট বার্তা— ‘নেতা নয়, জনতার কণ্ঠস্বরই গণতন্ত্রের আসল শক্তি।’
বিহারের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জন সুরাজের এই জনসংযোগ অভিযান আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে।
শনিবার বিহারের রাঘোপুরে জনসংযোগ অভিযান চালালেন জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর। রাজ্যের রাজনীতিতে নিজের অবস্থান মজবুত করতে এ দিন তিনি স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের সমস্যা ও চাহিদার কথা শোনেন এবং উন্নয়নের প্রশ্নে সরাসরি জনগণের মত জানতে চান। প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাঘোপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।
এ দিন তিনি রাঘোপুরের গ্রামাঞ্চল ঘুরে শিক্ষা, কর্মসংস্থান, সড়ক পরিকাঠামো এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে স্থানীয়দের মতামত নেন। জনতার সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর বার্তা ছিল স্পষ্ট— ‘রাজনীতির আসল উদ্দেশ্য জনসেবা, ক্ষমতা দখল নয়।’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তেজস্বী যাদবের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রাঘোপুরে প্রশান্ত কিশোরের এই জনসংযোগ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সফর জন সুরাজ পার্টির কৌশলগত পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের কথায়, ‘রাঘোপুরে তেজস্বীর আসনে সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছনো মানে কিশোরের স্পষ্ট বার্তা, তিনি এখন বিহারের মূল ধারার রাজনীতিতে লড়াইয়ের ময়দানে।’
Advertisement



