তেলের দাম কমায় ক্ষতি প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা, এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি আর নন মুকেশ আম্বানি

বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। তেলের দাম কমছে হু হু করে। এই পরিস্থিতিতে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির শিরোপা হারালেন রিলায়েন্স প্রধান মুকেশ আম্বানি।

Written by SNS Mumbai | March 11, 2020 3:39 pm

রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। (File Photo: IANS)

বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে করােনাভাইরাসের আতঙ্ক। অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে মন্দা। তেলের দাম কমছে হু হু করে। এই পরিস্থিতিতে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির শিরােপা হারালেন রিলায়েন্স প্রধান মুকেশ আম্বানি । তাঁর বদলে এখন এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন চিনের শিল্পপতি জ্যাক মা। ধনীদের তালিকায় মুকেশ এখন দু’নম্বরে। 

অপরিশােধিত তেলের দাম কমায় বিশ্ব জুড়ে যে সংস্থাগুলি তেল উত্তোলনের সঙ্গে যুক্ত অথবা তৈল শােধনাগারের মালিক, তারা সকলেই ক্ষতির মুখে পড়েছে। মুকেশের ক্ষতি হয়েছে ৫৮০ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা। ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ারস ইনডেক্স অনুযায়ী, জ্যাক মা’র সম্পত্তির পরিমাণ এখন ৪৪৫০ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ মুকেশের চেয়ে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা বেশি। 

গত কয়েকদিন ধরে রাশিয়া ও সৌদি আরব পাল্লা দিয়ে কমাচ্ছে অপরিশােধিত তেলের দাম। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ জামনগরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল পরিশােধন কেন্দ্রের মালিক। একইসঙ্গে তারা কৃষ্ণা-গােদাবরী নদীর বেসিন থেকেও তেল উত্তোলনে যুক্ত। সােমবার তাদের শেয়ারের দর ১৩.৬৫ শতাংশ কমে হয়েছে ১০৯৬.৬৫ টাকা। 

গত বছরে একইদিনে রিলায়েন্সের শেয়ারের দর কখনও এত কমেনি। কিছুদিন আগে ওপেক গােষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি রাশিয়াকে প্রস্তাব দেয়, তেল উৎপাদন দৈনিক লক্ষ ব্যারেল কমানাে হােক। রাশিয়া সেই অনুরােধ মানেনি। তখন তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তেলের দাম কমাতে থাকে সৌদি আরব। 

সৌদি আরবের তেল কোম্পানি আরামকো জানায়, তারা ব্যারেল পিছু তেলের দাম কমিয়ে দেবে ছয় ডলার। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ডলার পর্যন্ত নামতে পারে। 

১৯৯১ সালে প্রথমবার উপসাগরীয় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে আর কখনও তেলের দাম এত কমেনি। এর ফলে ইরাক ও নাইজেরিয়ার মতাে যে দেশগুলির অর্থনীতি তেলের ওপরে নির্ভরশীল, তারা বিপদে পড়তে পারে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে এর ফলে। সৌদি আরবের মতাে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির গুরুত্ব কমতে পারে। তেল এত সস্তা হওয়ায় আগামী দিনে বিকল্প এনার্জির বদলে পেট্রোল, ডিজেল ব্যবহারের প্রবণতা বাড়বে। ফলে পরিবেশ বাঁচানাের লড়াইও ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা আছে।