করোনায় মৃত্যুহার কমার প্রমাণ মেলেনি, ইটোলিজুমাব, টোসিলিজুমাবের আরও ট্রায়াল দরকার বললেন আইসিএমআর প্রধান

বায়োকনের এক্সিকিউটিভ চেয়ারপারসন কিরণ মজুমদার শ দাবি করেছিলেন করোনায় মৃত্যুহার ৬২ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম সোরিয়াসিসের ওষুধ ইটোলিজুমাব।

Written by SNS New Delhi | July 16, 2020 8:12 pm

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

বায়োকনের এক্সিকিউটিভ চেয়ারপারসন কিরণ মজুমদার শ দাবি করেছিলেন করোনা’য় মৃত্যুহার ৬২ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম সোরিয়াসিসের ওষুধ ইটোলিজুমাব। পরীক্ষা করে তার প্রমাণ মিলেছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআরর ডিরেক্টর জেনারেল ড. বলরাম ভার্গভ জানিয়েছেন, করোনায় মৃত্যুহার কমানোর ক্ষেত্রে কতটা সক্ষম ইটোলিজুমাব তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তাই এই দুটি ড্রাগের আরও ট্রায়াল প্রয়োজন।

বায়োকনের তরফে দাবি করার পরই আইসিএমআরর সামনে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি সত্যিই করেনার সম্ভাব্য প্রতিষেধক এসে গিয়েছে ভারতের হাতে? এই প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ডা. ভার্গব। সোমবার একটি ওয়েন্নিানের বায়োকনের তরফে কিরণ মজুমদার শ বলেন, চার পর্যায়ের রিকভারি ট্রায়াল হয়েছিল ইটোলিজুমাবের। ৩০ জন করোনা রোগীকে দুটি দলে ভাগ করে কন্ট্রোলড ট্রায়াল করা হয়।

২০ জনকে সোরিয়াসিসের ইঞ্জেকশন ইটোলিজুমাব দেওয়া হয়। বাকিদের বিভিন্ন ডোজে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া হয়। প্রায় মাস দুয়েক ধরে ওষুধের ডোজ প্রয়োগ ও পর্যবেক্ষণে রেখে দেখা গিয়েছে ২০ জন করোনা রোগী সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন। পরে বাকি দশজনকেও ইটোলিজুমাব ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তাঁদের অবস্থাও এখন স্থিতিশীল।

এরপরেই সাংবাদিক সম্মেলনে ডা. ভার্গকে প্রশ্ন করা হয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ইটোলিজুমাবের অফ লেবেল ব্যবহার নিয়ে। অফ লেবেল ব্যবহার অর্থাৎ কোনও ড্রাগকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার আগেই যখন তার ব্যবহার শুরু হয়। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সঙ্কটাপন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে সাইটোকাইন প্রদাহের মস্যা দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত মাত্রায় সাইটোকাইন ক্ষরণ হচ্ছে। যার ফলে রোগীর শরীরে এক ধরনের প্রদাহ শুরু হচ্ছে এবং তার শরীর দ্রুত খারাপ হচ্ছে।

সাইটোকাইনের প্রদাহ কমানোর জন্য দুটি ওষুধের কথা ভাবা হয়েছিল। একটি টোসিলিজুমাব এবং অন্যটি ইটোলিজুমাব। আশা করা হয়েছিল, সাইটোকাইন প্রদাহ কমাতে সক্ষম হবে এই দুটি ড্রাগ। ভার্গব আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে এই দুটি ড্রাগ করোনার মৃত্যুহার কমাতে সক্ষম। তাই এই দুটি ড্রাগের আরও পরীক্ষানিরীক্ষা প্রয়োজন। গোটা বিশ্বজুড়ে ট্রায়াল চলছে যে এই দুটি ওষুধের মাধ্যমে মৃত্যুহার কমানো যায় কিনা।

আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেলের এই মন্তব্যের পরে অবশ্য কিরণ মজুমদার শ বলেন, ডাক্তার ভার্গব ঠিক কথাই বলেছেন। আমরা ছঅট স্তরে এই ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছি। এখনও চতুর্থ পর্যায়ের ট্রায়াল বাকি আছে।