• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের জন্য একা মমতাকে কৃতিত্ব দিতে নারাজ নির্মলা

‘জিএসটি কাউন্সিল স্বাধীনতার পরে তৈরি একমাত্র সাংবিধানিক কাঠামো। সেখানে মতপার্থক্য দূর করে আমরা এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে দেশের মানুষ খুশি। এটা কারও একার নয়, সকলের কৃতিত্ব।’

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমা থেকে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) তুলে নেওয়ার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। তৃণমূলের দাবি, অনেক আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে দাবি তুলেছিলেন এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কে চিঠিও দিয়েছিলেন। তাই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কৃতিত্ব মমতার। কিন্তু নির্মলা তা স্বীকার করতে নারাজ। তিনি শোনালেন ভিন্ন কথা।

শনিবার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্মলার কাছে প্রশ্ন তোলা হয়— তৃণমূলের বক্তব্য অনুযায়ী, মমতা একসময় বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে আপনাকে চিঠি দিয়েছিলেন, আর এখন সেটাই বাস্তবায়িত হয়েছে। তাহলে কি এর কৃতিত্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেই দেওয়া উচিত?

Advertisement

জবাবে নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘মমতা আমাকে হয়তো বিমায় জিএসটি তোলার কথা লিখেছিলেন। কিন্তু জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক শেষে আমি প্রথমেই প্রত্যেক মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। দলমত নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে আলোচনা করে এই ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। তাই কৃতিত্ব সবার।’

Advertisement

গত ৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে নির্মলার নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছিল জিএসটি কাউন্সিল। সেখানে সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, বিরোধীশাসিত কয়েকটি রাজ্য প্রথমে রাজস্ব নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে আপত্তি জানালেও শেষ পর্যন্ত ঐকমত্যে পৌঁছনো সম্ভব হয়।

এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের প্রশংসা করে নির্মলা বলেন, ‘আমি রাজনীতিতে মহিলা নেত্রীদের যথেষ্ট সম্মান করি। পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রীও মহিলা। তিনি অত্যন্ত সুচিন্তিত ও সুন্দরভাবে নিজের বক্তব্য কাউন্সিলে উপস্থাপন করেছেন। এমন বিষয় নিয়েও যা আমি সমর্থন করি না।’

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও জানান, বৈঠক শেষে তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেক রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকে বার্তা পাঠিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। নির্মলার কথায়, ‘জিএসটি কাউন্সিল স্বাধীনতার পরে তৈরি একমাত্র সাংবিধানিক কাঠামো। সেখানে মতপার্থক্য দূর করে আমরা এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে দেশের মানুষ খুশি। এটা কারও একার নয়, সকলের কৃতিত্ব।’

প্রসঙ্গত, এত দিন জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমায় ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হত। নতুন কাঠামোয় এই দুটি ক্ষেত্র থেকে জিএসটি পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। সরকারের দাবি, সাধারণ মানুষের আর্থিক বোঝা কমাতে এবং বিমার প্রতি তাঁদের আগ্রহ বাড়াতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

Advertisement