• facebook
  • twitter
Wednesday, 21 May, 2025

নিট-ইউজি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩

ধৃতদের নাম বিক্রমকুমার শাহ, ধর্মপাল সিং এবং অনিকেত কুমার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-র একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রতীকী ছবি

ডাক্তারি কোর্সে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা ছিল রবিবার। রবিবার দেশজুড়ে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট বা নিট ইউজি প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেছে ২২ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি পড়ুয়া৷ সেই প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তরপ্রদেশের নিট পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির খবর সামনে এসেছে। উত্তরপ্রদেশ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স নিট ইউজি এবং অন্যান্য পরীক্ষায় জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিট ইউজি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের পরিবারের কাছে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা দাবি করা হয়। এই তথ্য পাওয়ার পর, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স নয়ডা টিম তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।

জালিয়াতির অভিযোগে গৌতম বুদ্ধ নগর জেলার নয়ডা থেকে ৩  জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের বিরুদ্ধে  নিট-সহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক প্রবেশিকা পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  ধৃতদের নাম বিক্রমকুমার শাহ, ধর্মপাল সিং এবং অনিকেত কুমার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-র একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্তদের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল ফোন, ২টি আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, পাসপোর্ট, চেক বই-সহ নানা নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি কম্পিউটার এবং একটি গাড়িও।

গত ৩ মে গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে অতিরিক্ত এসপি রাজকুমার মিশ্র এবং ডিএসপি নবেন্দু কুমারের তত্ত্বাবধানে নয়ডার সেক্টর ৩-এ অবস্থিত এই জালিয়াত চক্রের অফিসে অভিযান চালায় এসটিএফের নয়ডা শাখা। খবর ছিল যে, চক্রের সদস্যরা  শুধুমাত্র নিট পরীক্ষার্থীদের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। তাঁদের মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে পাশ করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত।

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ৩০ বছর বয়সি বিক্রম বিহারের দারভাঙ্গার বাসিন্দা। ২০১১ সালে বায়োটেকনোলজি পড়তে চেন্নাইয়ের বিনায়ক মিশন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন বিক্রম। সেখানেই অনিকেতের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। এরপর তারা দুজন মিলে ৩০ শতাংশ লাভের বিনিময়ে ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার ব্যবসা করতে শুরু করেন। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর দিল্লি চলে যান বিক্রমরা। সেখানে তাঁদের সঙ্গে আলাপ হয় ধর্মপালের।এর পর ৩ জন মিলে একটি ভুয়ো সংস্থা খুলে নিট পরীক্ষার্থীদের টোপ দিতে শুরু করেন। প্রশ্ন ফাঁস এবং ওএমআর  বদলাতে পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হত।

রবিবারও জালিয়াতির অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল রাজস্থান পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপও। চলতি বছরের শুরুতেও নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। তার পরেই এ ধরনের ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। অভিযোগ জানানোর জন্য একটি বিশেষ পোর্টালও চালু করেছিল তারা। তার পরেও ফের জালিয়াতির খবর প্রকাশ্যে এল।